দিনহাটায় বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে কোনও সন্দেহজনক কিছু পেল না কমিশন। ওই বিজেপি কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে রিপোর্ট দিলেন কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। অমিত সরকার নামে দলের দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতিকে তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কমিশনের রিপোর্টের পর মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা।
গত বুধবার সকালে দিনহাটা শহরের পশু চিকিৎসালয়ের সামনের ছাউনি থেকে অমিতবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এর পর স্থানীয় বিজেপি সাংসদ নীশিথ প্রামাণিক দাবি করেন, অমিতবাবুকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে এলে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা।
ঘটনা নিয়ে শোরগোল শুরু হলে তৎপর হয় কমিশন। কীভাবে মৃত্যু হল বিজেপি নেতার জানতে সাধারণ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে তদন্তের নির্দেশ দেয় তারা। তদন্তে সশরীরে দিনহাটায় হাজির হন ২ আধিকারিক। কথা বলেন মৃতের পরিবার ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অমিতবাবু। ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানান, ফাঁস লেগে আত্মহত্যার চিহ্ন ছাড়া দেহে আর কোনও আঘাতের চিহ্ন পাননি তিনি। এর পরই সোমবার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে জানিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট দেন বিবেক দুবে।
কমিশনের রিপোর্ট মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, মৃত নেতার পরিবারের লোক নির্ভয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তৃণমূলের চাপে সত্য গোপন করে থাকতে পারেন তাঁরা। অমিতবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে পুরনো অবস্থানেই অনড় রয়েছেন তারা।