'চাকরিই চাকরি হবে বাংলায়'। বুধবার যাদবপুরে প্রচারে এসে ফের এই আশ্বাসই দিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী জানান, বাংলায় সিলিকন ভ্যালি হবে। প্রচুর মানুষের চাকরি হবে। বানতলা থেকে শুরু করে অনেক শিল্পতালুক হয়েছে বাংলায়। তাঁর আমলে বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্রতা কমে গিয়েছে। 'আশীর্বাদ করুন যাতে ভবিষ্যতে যাতে আরও ভালো কাজ করতে পারি।' বুধবার সিঙ্গুরে এসে শিল্প তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। সেই সঙ্গে রাজ্যে কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান শাহ।এবার শাহের পালটা রাজ্যে চাকরি, কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা।
অমিত শাহকে 'লাভলি দাদা' বলে সম্বোধন করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আজও এসে বলে গিয়েছেন, বিজেপি নাকি যে তিন দফায় ভোট হল, তাতে ৯১টি আসনের মধ্যে ৬৮টি আসনে জিতবে। যা বলেন, তার কোনও কিছুই ঠিক হয় না।মহারাষ্ট্রে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে বলেছিল, পেয়েছে এক-তৃতীয়াংশ আসন। দিল্লিতে ৭০টা আসন পাবে বলেছিল, পেয়েছে ৮টা।কোনওটাই মেলেনি।’ একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে ভোট করানোর অভিযোগও তোলেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে গুণ্ডা নিয়ে এসে কলকাতার হোটেল বসে আছে। গুণ্ডারা কলকাতায় তাণ্ডব করে বেড়াচ্ছে গুণ্ডারা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ভোটারদের প্রভাবিত করতে কাজে লাগানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী।
অভিযোগের সুরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রী প্রচার করছেন। এতে তো ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারেন। এখন আবার নির্বাচনের দিনও বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। বিজেপির মতো এতবড়ো মিথ্যাবাদী দল আর একটাও দেখিনি।' যাদবপুরে দাঁড়িয়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'এ রাজ্যে সব উদ্বাস্তরাই এই দেশের নাগরিক।উদ্বাস্তদের নিয়ে তাঁর সরকার যা করেছে, তা অন্য কেউ করেনি।' বিজেপির 'সোনার বাংলা' গড়ার কথা তুলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিজেপি বলছে সুনার বাংলা গড়বে। সোনার বাংলা নয়।ওরা ইচ্ছে করে বাঙ্গাল বলবে। বাংলা বলবে না।ওরা জানে না, বাংলা কতটা এগিয়ে গিয়েছে।'