নার্ভাস লাগছে। একটা অজানা আতঙ্ক চেপে বসেছে। প্রতিক্রিয়া উত্তর দিনাজপুরের মহিলা ভোটকর্মীদের একাংশের। রাত পোহালেই ভোট। বুধবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজ থেকে ইভিএম নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা হওয়ার আগে মহিলা ভোটকর্মীদের একাংশের এটাই ছিল সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া। তবে সকলেই যে আতঙ্কিত এমনটা নয়। এর বাইরেও অনেকে আছেন যারা ভোট নেবেন একথা ভেবে রীতিমতো রোমাঞ্চিত। এক মহিলা ভোটকর্মীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেমন লাগছে প্রথমবার ভোটের ডিউটি পাওয়ার পর? তিনি বলেন, প্রথমবার যাচ্ছি। মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো একটু তো নার্ভাস লাগছে। সবই প্রায় বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছি। অপর একজন ভোটকর্মী বলেন, কিছুটা আনন্দ লাগছে। কিছুটা অজানা আতঙ্ক লাগছে। কিন্তু কেন আতঙ্ক? মহিলা ভোটকর্মী বলেন, চারদিকে যে ঘটনা হচ্ছে। এসব দেখেশুনে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে আবার করোনা ভাইরাস একেবারে পিছন ছাড়ছে না। তবে এসবের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও আছে। এক মহিলা ভোটকর্মী বলেন, একদম নতুন অভিজ্ঞতা। একটু নার্ভাস লাগছে। আবার ভালোও লাগছে। আমি মহিলা পরিচালিত বুথে যাচ্ছি। তিনবার প্রশিক্ষণ হয়েছে। কোনও ভয়ের ব্যাপার নেই। তবে করোনা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে।
উত্তরদিনাজপুর জেলার চোপড়া, ইসলামপুর, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, করনদিঘী, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহার সহ ৯ টি বিধানসভার কেন্দ্রের ৩হাজার ৭৬টি বুথে কাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৬৩ টি বুথই সম্পূর্ণ মহিলা দ্বারা পরিচালিত বুথ। জেলায় ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৩৬৩টি মহিলা পরিচালিত বুথে ১৫০০ জন মহিলা ভোটকর্মী থাকবেন।
মহিলাদের একাংশের মধ্যে চাপা আতঙ্ক যেমন রয়েছে তেমনি উৎসাহ আর উদ্দীপনাও রয়েছে।তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জের বামনগ্রাম স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে পাওয়া গিয়েছিল এক ভোটকর্মীর দেহ। রাজকুমার রায় নামে ওই ভোটকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। তবে ভোটকর্মীদের সুরক্ষার জন্য এবার যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন।