বিজেপি নেতা প্রলয় পালের অনুরোধেই তাঁকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভোটপ্রচারের শেষ লগ্নে নন্দীগ্রামে এক সভায় এমনটাই দাবি করলেন তিনি। সঙ্গে বললেন, ফোন কল রেকর্ড করা, ভাইরাল করা ফৌজদারি অপরাধ। ওদের শাস্তি হওয়া উচিত।
দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কথোপকথন প্রকাশ্যে আসে। তাতে মমতাকে প্রলয়বাবুর কাছে সাহায্য চাইতে শোনা যায়। কিন্তু পত্রপাঠ সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রলয়বাবু। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে। বিজেপির দাবি, তাঁদের কর্মীদের বেইমানি করতে শেখাচ্ছেন মমতা। যদিও তৃণমূলের দাবি ছিল, প্রাক্তন কর্মীকে দলে ফেরাতে আবেদন করতেই পারেন মমতা।
এই ঘটনা নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের ভোটপ্রচারের শেষ লগ্নে মমতা বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছিল, কেউ কেউ কথা বলতে চায়। আমার কী অপরাধ? আমার সঙ্গে কেউ কথা বলতে চাইলে আমি কি কথা বলবো না? তাহলে বলবে, দেখো কী অহঙ্কারী। কথা বলতে চাইলাম, বলল না। আর বললেও রেকর্ড করে নিয়ে বাইরে ঘুরিয়ে দেবে। যাই হোক এটা কিন্তু কোনও সিরিয়াস কেস নয়’।
মমতার প্রশ্ন, ‘আমি ওকে কী বলেছি? ভাল থেকো, সুস্থ থেকো। ঠিক আছে, যা ভাল বুঝবে, করবে। আর এটা মনে রাখবেন, প্রার্থী হিসাবে আমি যে কারও কাছে সমর্থন চাইতে পারি। যখন ফোনে ফোনে নরেন্দ্র মোদী তৃণমূলের লোকেদের বলে তখন দোষ হয় না? আমি যদি নন্দীগ্রামের একজন ভোটারকে তার রিকোয়েস্টে ফোন করে থাকি, অন্যায়টা কোথায়’।
এমনকী প্রলয় পালের শাস্তি দাবি করে মমতা বলেন, ‘কেউ যদি কোনও তথ্য চায় তাকে তথ্যটা দেওয়া আমার দায়িত্ব। কিন্তু সে যদি এটাকে রেকর্ডিং করে, ভাইরাল করে তাহলে তার শাস্তি হওয়া উচিত, আমার নয়। ওরা প্রতারণা করছে। এটা ফৌজদারি অপরাধ। এটা করা যায় না’।
মমতার বক্তব্য নিয়ে প্রলয়বাবু বা বিজেপি এবার কী প্রতিক্রিয়া দেয় তা দেখার।