কালচিনি বিধানসভা নির্বাচনে ১,০২,২৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির বিশাল লামা। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী পাসাঙ্গ লামা ৭৩,৮৯৬টি ভোট পেয়েছেন।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাসাঙ্গ লামা। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বিশাল লামা। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের অভিজিৎ নার্জিনারি। এই আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
আলিপুরদুয়ার পুরসভা এবং মাদারিহাট–বীরপাড়া, আলিপুরদুয়ার–১, আলিপুরদুয়ার–২, ফালাকাটা, কালচিনি ও কুমারগ্রাম–এই ছয়টি ব্লক নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গঠিত হয়। এই জেলায় ৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৯টি সেন্সাস টাউন আছে। জেলার সদর আলিপুরদুয়ার। আলিপুরদুয়ার জেলার থানাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, শামুকতলা, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, কালচিনি, জয়গাঁ, মাদারিহাট ও বীরপাড়া। এই জেলায় ভারতের দু’টি জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। সোগুলো হল বক্সা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। আলিপুরদুয়ার পুরসভা ছাড়াও এই জেলায় ছ’টি ব্লকের অধীনে ন’টি সেন্সাস টাউন ও ৬৬টি গ্রামপঞ্চায়েত আছে।
কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই আসনটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১১ নম্বর কালচিনি (তফসিলি উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি কালচিনি সিডি ব্লক ও মাঝেরদাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি আলিপুরদুয়ার-২ সিডি ব্লকের অন্তর্গত। কালচিনি(তফসিলি উপজাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের (তফসিলি উপজাতি) অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উইলসন চম্প্রামারি জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬২,০৬১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী বিশাল লামা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬০,৫৫০৷তৃণমূল প্রার্থী উইলসন চম্প্রামারি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী বিশাল লামাকে ১,৫১১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০১১ সালের নির্বাচনে উইলসন চম্প্রামারি (জিজেএম নির্দল সমর্থিত) তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসপির প্রার্থীকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আরএসপি'র মনোহর তিরকে কংগ্রেসের পবনকুমার লাকড়াকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে কংগ্রেসের পবনকুমার লাকরা আবার আরএসপি’র মনোহর তিরকেকে পরাস্ত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আরএসপি'র মনোহর তিরকে কংগ্রেসের ক্ষুদিরাম পাহানকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের ক্ষুদিরাম ওরাওঁকে পরাজিত করেছিলেন মনোহর। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের ক্ষুদিরাম পাহান আরএসপির মনোহর তিরকেকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে আরএসপি'র মনোহর তিরকে কংগ্রেসের ক্ষুদিরাম পাহান ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের ডেনিশ লাকড়াকে পরাজিত করেছিলেন মনোহর।১৯৭২ সালে কংগ্রেসের ডেনিশ লাকড়া এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালের নির্বাচনগুলোয় আরএসপি'র নানি ভট্টাচার্য জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম মণ্ডল ও অনিমা হুরে উভয়েই যখন একত্রে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তখন যুক্ত আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল।