জলনুপুর ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি টেলিভিশনের পর্দায় জনপ্রিয়তা পান। তারপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর যোগদানের পরই পেয়ে গেলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট। এবার তিনি সোনারপুর (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই কেন্দ্রটি তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি বলেই পরিচিত। হ্যাঁ, তিনি লাভলি মিত্র।
এই অভিনেত্রীকে নিয়েই এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। কারণ তাঁকে নিয়ে বিজেপি নানারকম প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যা বিধানসভা নির্বাচনের সূতিকালগ্নে বাজার গরম করার মতো। ঘটনা হল— হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ের স্ত্রী লাভলি মিত্র। এখানেই বিজেপির মাথা ঘুরে গিয়েছে। স্বয়ং পুলিশকর্তার স্ত্রীকে প্রার্থী করায় তৃণমূল কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোকে ঘায়েল বিজেপি। তাই তাঁরা ফুঁসে উঠেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এই বিষয়ে বিজেপির দাবি, আইন নেই, রাজ্যের আইপিএস অফিসারের স্ত্রী প্রার্থী হতে পারে না। কমিশনের দ্বারস্থ হব। এই হুঙ্কার ছাড়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। তবে পাল্টা দিতে ছাড়েননি লাভলি মিত্রও। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র পরিচয় আমি পুলিশ সুপারের স্ত্রী নই। প্রত্যেকটা মেয়ের একটা নিজস্ব পরিচয় আছে। আমারও তা আছে। ভারতীয় জনতা পার্টি আসলে দেশের মেয়েদের নিজস্ব পরিচয়টাই মুছে দিতে চাইছে। যা অত্যন্ত নোংরা রুচি।’
লাভলি কাণ্ডে মন্তব্য করে তাই বিপাকে পড়েছে বিজেপি। কারণ লাভলির মন্তব্য মানুষ সমর্থন করলেও বিজেপি দাবি তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। বিজেপি এখনও দল ভাঙার খেলায় মেতে রয়েছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ঘোষণা করতে পারেনি। তার উপর নির্বাচনের আগে মহিলা প্রার্থীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় তা বুমেরাং হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও তার ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কেউ নামেননি।