শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ব্যতিক্রমী ভাবে এখনো ঘোষণা হয়নি তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা। সূত্রের খবর, সম্ভবত সোমবার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আট দফা ভোটে প্রার্থীতালিকাও প্রকাশিত হতে পারে দফায় দফায়। আর তাতে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে তা নিয়ে বাজি ধরাধরি চলছে তৃণমূলের অন্দরেই।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সোমবার দলের নির্বাচনী কোর কমিটির বৈঠকের পর প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত প্রথম কয়েকটি দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করবেন তিনি। তার পরই কোমর বেঁধে ভোটপ্রচারে নেমে পড়বেন দলের কর্মীরা।
তবে কে কে টিকিট পেতে পারেন তা নিয়ে অন্ধকারে তৃণমূলের বহু শীর্ষনেতাই। শাসক দলের ভিতরের খবর, পরিস্থিতি এবার জটিল। প্রথমত, গত কয়েক মাসে দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন বহু নেতা ও বেশ কয়েকজন বিধায়ক। ওদিকে যোগ দিয়েছেন রাজনীতি ও অভিনয় জগতের বহু পরিচিত মুখ। এই পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই প্রার্থী বদল করতে পারে তৃণমূল। প্রবীণদের সরিয়ে নবীনদের টিকিট দেওয়া হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে এবার দলের নেতাদের মত ছাড়াও লাগবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার অনুমতি। তারা বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালিয়ে বিধায়কদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করেছে তার ওপর নির্ভর করে বহু জায়গায় প্রার্থী বদলাতে পারে তৃণমূল।
তৃতীয়ত, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটের আশায় এখনো বিজেপিতে যাননি দলের বহু নেতা। প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর যদি দেখা যায় তারা টিকিট পাননি তাহলে বিজেপিতে যোগদানের জন্য ঝাঁপাবেন তাঁরা। নতুন ধরে ধস নামবে তৃণমূলে। ভোটের আগে যা মোটেও চাইবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সম্ভবত দফায় দফায় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করবেন তিনি।
এছাড়া নজর থাকবে আরও একটা দিকে। রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে নন্দীগ্রামে। গত জানুয়ারিতে সেখান থেকে ভোটে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি নন্দীগ্রামে নিজের নাম ঘোষণা করেন কি না তা সম্ভবত চূড়ন্ত হয়ে যাবে আগামিকালই।