হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে বৃহস্পতিবার ভোটপর্ব শুরু হতেই নির্বাচনী ওয়ার-রুমে বসে সব বুথের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দেন তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। কয়েকটা ফোন করেন। ফোন খোঁজখবর নেওয়ার পরই বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখে সকাল সকাল চলে যান নন্দীগ্রাম থানায়।এত তাড়াতাড়ি তাঁর এই থানায় যাওয়া নিয়ে উঠতে প্রশ্ন।এই বিষয়ে অবশ্য খোলসা করে কিছু জানাননি সুফিয়ান নিজে। তবে মমতার প্রধান সেনাপতির থানায় যাওয়া কারও দৃষ্টি এড়ায়নি।
এদিন নন্দীগ্রামে ভোট পর্বের শুরু থেকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে ছিল শেখ সুফিয়ানের। সকাল সাতটা থেকে নিজের বাড়িতে বসেই যাবতীয় খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দেন। কোন বুথে এজেন্ট পৌঁছাতে পারেননি, কোথায় বুথে এজেন্টকে বসতে দেওয়া হল না, এই সব খোঁজখবরই নিতে থাকেন সুফিয়ান। এরপরই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করতে। কিছু বুথ ঘুরে দেওয়ার পর নন্দীগ্রাম থানায় যান সুফিয়ান। থানা থেকে বেরোনোর সময়ে শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘কয়েকটি বিষয়ে থানার পুলিশ কর্তাদের জানাতে এসেছিলাম। তাদের সহযোগিতা পেয়েছি।’ তবে তিনি ঠিক কী বিষয়ে কথা বলেছেন, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি সুফিয়ান।
এদিন সকালে নন্দীগ্রামে ভোট দিতে এসে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামে ৮০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট বসাতেই পারেননি। প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির লোকেরা তৃণমূলের এজেন্ট বসাতে দেয়নি, এই অভিযোগ করতেই কী সুফিয়ান গিয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতেই পারে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের একটা কৌশল আছে।এটাও সেই কৌশলের অঙ্গ হতেও পারে।