দেশে টানা চারদিন নয়া আক্রান্তের সংখ্যা দু'লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে। হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তারইমধ্যে আসানসোলের সভায় ‘ভিড়ের’ জন্য আপ্লুত হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁরা প্রশ্ন তুললেন, দেশ যখন করোনার সংক্রমণে ধুঁকছে, তখন নিজের দলের জন্য কীভাবে প্রচার চালাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী?
শনিবার ভোটের বাংলায় প্রচারে আসেন মোদী। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই তাঁর সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড তৈরি হয়েছে দেশে। তারইমধ্যে আসানসোলের সভা থেকে মোদী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আজ একটা অভিযোগ করতে চাই, করি? আপনাদের বিরুদ্ধে নালিশ আছে? রাগ করবেন না তো? দেখুন লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমি এখানে এসেছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ভোট চাইতে এসেছিলাম। বাবুলজির জন্য ভোট চাইতে এসেছিলাম। কিন্তু প্রথমে এসেছিলাম, তখন তো আমার জন্য ভোট চাইতাম। তাও সভায় এক-চতুর্থাংশ লোকও সভায় ছিলেন না। আজ চারিদিকে…আমি এরকম সভা প্রথমবার দেখলাম। প্রথমবার দেখলাম.. এবার বলুন, আমার নালিশ মিষ্টি নাকি তেতো। আমি যেদিকে তাকাচ্ছি, সেদিকেই লোক দেখতে পাচ্ছি।’
সেই মন্তব্যের পর একাংশের প্রশ্ন, দেশে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কীভাবে ভিড়ের পক্ষে সওয়াল করছেন মোদী? আর পাঁচটা জনসভার মতো আসানসোলের সভাতেও করোনার দূরত্ববিধি ছিল সোনার পাথরবাটি। তারপরও কীভাবে প্রচার করছেন তিনি। মোদীর ‘ভিড়’ বক্তব্যের রেশ ধরে এক নেটিজেন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে জনসভায় কখনও এরকম ভিড় দেখিনি। আর এদিকে নাগরিকরা আইসিইউ বেড, ওষুধ এবং চিকিৎসার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছেন, কাছেপিঠে কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না, নেতারা নিজেদের কাছে জীবনদায়ী ওষুধ রেখে দিচ্ছেন, যখন ভয়াবহ অবস্থা এখনও আসেনি।’
ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে দিল্লিতে একই বেডে দু'জন রোগী শুয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অক্সিজেন, ওষুধের আকালের অভিযোগও উঠেছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে সেইসব অভিযোগ খণ্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন নেতা ব্যক্তিগতভাবে জনসভা এড়িয়ে যাওয়ার পথে হেঁটেছেন। কিন্তু এখনও অধিকাংশ নেতা বা রাজনৈতিক সভা সেই পথ মাড়ায়নি। এক নেটিজেন বলেন, 'যতক্ষণ না আমাদের নেতারা করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে, ততক্ষণ জনগণও যে করোনাকে গুরুত্বের সহকারে দেখার কাজটা কঠিন।'
ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে দিল্লিতে একই বেডে দু'জন রোগী শুয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অক্সিজেন, ওষুধের আকালের অভিযোগও উঠেছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে সেইসব অভিযোগ খণ্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন নেতা ব্যক্তিগতভাবে জনসভা এড়িয়ে যাওয়ার পথে হেঁটেছেন। কিন্তু এখনও অধিকাংশ নেতা বা রাজনৈতিক সভা সেই পথ মাড়ায়নি। এক নেটিজেন বলেন, 'যতক্ষণ না আমাদের নেতারা করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে, ততক্ষণ জনগণও যে করোনাকে গুরুত্বের সহকারে দেখার কাজটা কঠিন।'|#+|
মোদীর সেই মন্তব্যের জন্য আক্রমণ উড়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির থেকেও। যশবন্ত সিনহা বলেন, 'আসানসোলে নির্বাচনী জনসভায় বড় জনসমাবেশন দেখে প্রধানমন্ত্রীর আনন্দ এমন একজনই করতে পারেন, যিনি পুরোপুরি অসংবেদনশীল। তাঁর মন্তব্যের নিন্দা করছি।' যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও প্রচার চলছে। ব্যক্তিগতভাবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বড় মিছিল করবেন না বললে দলের তরফে সেরকম কোনও সিদ্ধান্ত এখনওনেওয়া হয়নি।