যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, অথচ এখনও পলাতক, সেই সব অভিযুক্তের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে পুলিশ বলে খবর। এমনকী প্রশাসনের সাহায্যে তাদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। যাতে ভোটের দিন তারা ভোট দেওয়ার নামে গণ্ডগোল পাকাতে না পারে। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা এলাকায় এমন প্রায় ২২০ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকজনের নাম বাদ পড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই তালিকায় একাধিক ‘কুখ্যাত’ দুষ্কৃতীর নাম রয়েছে। তাই তাদের নাম বাদ দেওয়া এবং তারা এলাকায় ঢুকছে কি না, সেই গতিবিধির উপরেও কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আদালত পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু, পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে বহু অভিযুক্ত অপরাধের পর গা ঢাকা দেয়। বহু বছর ধরে তারা এলাকা ছাড়া। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সব থানা থেকে বকেয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার তালিকা সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, আড়াই হাজারের মতো গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়নি।
সূত্রের খবর, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বকেয়া দু’হাজার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল। এখনও প্রায় ৪০০ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এলাকায় সরেজমিনে তল্লাশি করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৪০০ জনের মধ্যে ওই ২২০ জন বছরের পর বছর ধরে পলাতক রয়েছে। প্রশাসন ও কমিশনের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বুথ থেকে ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, তারা যে ঠিকানায় থাকত, সেই ঠিকানাতেই ভোটার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। তখনই কমিশনের গাইডলাইন মেনে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। মাত্র ৪০০ গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা বাকি। ভোটের দিন যাতে এলাকায় ঢুকে অভিযুক্তরা গণ্ডগোল করতে না পারে তার জন্যই কমিশনের নিয়ম মেনে দুই শতাধিক অভিযুক্তের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’