CRPF মানুষ খুন করছে, ভোটের সময় পুলিশ বিজেপির হয়ে যায়: মমতা

এর পরই পুলিশের একাংশকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। বলেন, ‘ছোট পুলিশদের কোনও দোষ নেই। পুলিশের নেতারা এসব করে। আর অনেকেই এখন বোঝাপড়া করে বসে আছে।

জনসভায় মমতা। 

ভোটপ্রচারে ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় তুলে বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারে এক জনসভা থেকে অমিত শাহের নির্দেশে সিআরপিএফ মানুষ খুন করছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর দাবি, ভোটের সময় পুলিশ বিজেপির হয়ে যায়। 

এদিন মমতা বলেন, ‘যতক্ষণ EVM সিল না হচ্ছে বাড়ি যাবেন না। যতক্ষণ EVM যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে না যাচ্ছে একদম বাড়ি যাবেন না। পুলিশ যদি বলে আপনারা বাড়ি চলে যান আমরা দেখছি, একদম বিশ্বাস করবেন না। কারণ ইলেকশনের সময় পুলিশ পুরো বিজেপির হয়ে যায়। আমি অনেক জায়গায় দেখেছি’। 

এর পরই পুলিশের একাংশকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। বলেন, ‘ছোট পুলিশদের কোনও দোষ নেই। পুলিশের নেতারা এসব করে। আর অনেকেই এখন বোঝাপড়া করে বসে আছে। কালকে আরামবাগ দেখে নিয়েছি। আরামবাগের ওসির ভূমিকাও আমি দেখে নিয়েছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট’।

সিআরপিএফের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মমতা বলেন, ‘মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া উচিত। সিআরপিএফের তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমি সিআরপিএফকে সম্মান করি। যারা সত্যিকারের সিআরপিএফ জওয়ান তাদের সম্মান করি। বিজেপির সিআরপিএফকে সম্মান করি না। যারা বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে, মহিলাদের মারছে, সাধারণ মানুষকে খুন করছে, হেনস্থা করছে। আমি তাদের সমর্থন করি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে সিআরপিএফ এসব করে বেড়াচ্ছে। আমি পুলিশকে এসব নির্দেশ কখনও দিইনি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে পুলিশকে কখনও এসব নির্দেশ দিইনি’। 

জবাবে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল কি চায় পুলিশ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকবে আর তারা ভোট লুঠ করবে? সেটা হবে না। ভোট করাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মানুষকে তৃণমূল যা বোঝাতে চাইছে তা তারা ধরে ফেলেছে। কিছুদিন পরেই তৃণমূল তা বুঝতে পারবে’।