তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার পরই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের ইস্তফা ঘোষণা করেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ। জানান, অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এটাই সঠিক সময় বলে মনে হচ্ছে।
এদিন রাজ্যসভায় কিছু বলতে চান বলে সহ সভাপতির কাছে অনুমতি চান দীনেশ ত্রিবেদী। এর পর বলতে উঠে দেশে করোনা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। এর পর তিনি বলেন, আমি রবীন্দ্রনাথের মাটির মানুষ। আমাদের জীবন জন্মভূমির জন্য উৎসর্গীকৃত। সেখানে আসলে আমাদের জীবন জন্মভূমির জন্যই উৎসর্গীকৃত। পার্টিতে আছি বলে তার শৃঙ্খলা মেনে আমাকে চুপ করে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু আমি আর চোখে দেখতে পারছি না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওদিকে অত্যাচার চলছে। কিছু করতে পারছি না। আমার মন আজ বলছে বিবেকানন্দের বাণী শোন, ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না। আমার মন বলছে যে এখানে চুপ করে বসে বসে সব দেখার থেকে ভাল ইস্তফা দাও।
তৃণমূলের সঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদীর সংঘাত নতুন নয়। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রেল মন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদী। রেলমন্ত্রী হয়ে রেল বাজেটে ট্রেনের ভাড়াবৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে দলনেত্রীর রোষানলে পড়েন তিনি। রাতারাতি তাঁকে সরিয়ে রেলমন্ত্রী করা হয় মুকুল রায়কে। তখনও দীনেশ ত্রিবেদী কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার পর দীর্ঘদিন দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি।
এদিন তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়। রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্যেও এদিন তিনি সেই আভাস দিয়েছেন। দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘জীবনে একটা সময় নিজের অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়। সেই মুহূর্ত আমার জীবনে এসেছে।’ দীনেশবাবুকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।