সবে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাকি আছে এখনও সাত দফা। দ্বিতীয় দফা হবে ১ এপ্রিল। কিন্তু বিজেপি যেন আর অপেক্ষা করতে পারছে না। এমনকী বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কে, তা ঠিক করে উঠতে পারেনি। অথচ শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সরকার চালাবেন তিনি এবং দিলীপ ঘোষ। আর শুভেন্দুর এই দাবি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে ১ এপ্রিল তাঁর নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ভোট। যদিও মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি প্রসঙ্গ তুললেন খড়গপুর সদরের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘এখানকার উপনির্বাচনে প্রদীপ সরকারের জয় একটি দুর্ঘটনা। ওটা ভুলে যান। কারণ শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে ওই উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে পারত না।’
এরপরই সোমবার শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় এবার বিজেপি সরকার আসছেই। আর সরকার চালাব আমি আর দিলীপ ঘোষ।’ যদিও এর আগেও বালুমাটির শুভেন্দু আর লালমাটির দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু একেবারে সরকার চালানোর মতো দাবি তুলেছেন। আর তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, মুকুল রায়কে সাইড করতেই কী এই ছক?
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে। হার নিশ্চিত বুঝে গিয়েছে, তাই বাকি ভোটের জন্য কর্মীদের ভোকাল টনিক দিচ্ছেন।’ তবে এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২ মে। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী ঝড় উঠতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ সেখানে আসতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মহাগুরু। বিপক্ষে জবাব দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।