উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসনে এবার সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল। এখানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এরপরই কার্যত হিসাব মেলাতে পারছেন না তৃণমূলের একাংশ। তাঁদের দাবি এতদিন ধরে বিপদে, আপদে পাশে থাকল তৃণমূল। আর ভোট পেয়ে জিতে গেল বিজেপি। এটা কী করে সম্ভব? এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ সরকারের।তাঁর সাফ কথা,'যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তাঁরা আর কোনওদিন কোনও সুযোগ সুবিধা নিতে আসবেন না।' ফেসবুক পোস্টেও তিনি লিখেছেন, রায়গঞ্জে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন তারা বিপদে কোনও তৃনমূল কর্মীদের কাছে আসবেন না। যদি আপনাদের মনুষ্যত্ব থাকে।' এমনকী কাউন্সিলর নিজের বাড়ির সামনে এই মর্মে পোস্টারও সেঁটেছিলেন তিনি। পরে যদিও তিনি সেই পোস্টার খুলে ফেলেন।রায়গঞ্জ পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ সরকারের এই নিদানকে ঘিরে মহা আতান্তরে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
এমনকী তাঁর বাড়িতে আসা ওয়ার্ডের এক দু্ঃস্থ বাসিন্দা সাহায্য চাইতে গেলে তাঁকে বিজেপি পার্টি অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চাল নেওয়ার জন্য কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, পার্টি অফিসে যাও। কিছুই বুঝতে পারছি না।' তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ সরকার বলেন,' ক্ষোভে দুঃখে এই পোস্ট। সারাবছর এলাকার মানুষের পরিষেবা দিয়ে এসেছি। এত উপকার দেওয়ার পরেও রায়গঞ্জ বিধানসভায় বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তাদেরকে অনুরোধ করছি আর কোনও উপকার চাওয়ার জন্য় আসবেন না। এমএলএর কাছে যাবেন । তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ডের সব মানুষই আমার কাছে সমান। যারা আমাদের দলকে ঘৃণা করেন তারা নিজে থেকে আর উপকারের জন্য আসবেন না , এটাই অনুরোধ।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের কাউন্সিলরের এই ধরণের মন্তব্য কতটা যুক্তিযুক্ত?