ভোটের গোটা প্রচারপর্ব জুড়ে একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে এসেছে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে। ভোট মিটেছে কিন্ত এখনও কমেনি হিংসার ঘটনা। মঙ্গলবার গভীর রাতে হাওড়ার শিবপুরে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। একেবারে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ শালিমার ৫ নম্বর গেটে কাছে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলেন ভোলা রায় নামে ওই তৃণমূল কর্মী। তখনই বাইকে চেপে এলাকায় আসে তিনজন দুষ্কৃতী। এরপরই ওই তৃণমূল কর্মীকে নিশানা করে এলোপাথারি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার পেটে ও চোখের পাশে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল কর্মী। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন।
এদিকে গোটা ঘটনায় দ্রুত উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। রোষের আঁচ গিয়ে পড়ে বিজেপির স্থানীয় পার্টি অফিসের উপর। সেই পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। দুটি লরি, একটি গাড়ি ও বাইকেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এইভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কেউ যুক্ত নন। এদিকে রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরানো কোনও শত্রুতার জেরে এভাবে গুলি চালানো হয়েছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী এই তৃণমূল কর্মী। সেই আক্রোশেই তার উপর হামলা চালানো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।