গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন 'ভয়ঙ্কর খেলা হবে'। বৃহস্পতিবার দিনভর বীরভূমের ইলামবাজার থেকে নানুর কার্যত সেই ভয়ঙ্কর খেলারই সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। কিন্তু ভোট মিটলেও সেই ভয়ঙ্কর খেলা থামল না বীরভূমে। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তবে কি একস্ট্রা টাইম খেলা হচ্ছে বীরভূমে? ভোট প্রক্রিয়া মিটে যাওয়ার পরেও রাতভর নানুরে চলল বোমাবাজি। নানুরের বন্দর গ্রামে বোমার শব্দে ঘুম উড়ে যায় সাধারণ মানুষের।গ্রামের মধ্যেই তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এনিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। প্রসঙ্গত এর আগেও নানুরের ধূপসারা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকেও ৬টি ড্রাম ভরতি বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এদিকে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি কর্মী শেখ আলোয়ারের দাবি, ‘সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি করি বলে বার বার আমার উপর আক্রমণ নেমে আসছে। গত একবছর ধরে আমার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।' 'গুলি করে মারব’ বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে এমনটাও অভিযোগ ওই বিজেপি কর্মীর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারা রাত তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
বিজেপির অপর এক কর্মী সমীর দাস বলেন, ‘অন্তত ১০-১২টা বোমা ফেলা হয়েছে।’ তৃণমূলের লোকজনই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তার দাবি। তবে তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সমবেদনা আদায়ের জন্য বিজেপি এসব অভিযোগ করছে।