কোনও রাজনীতি বুঝি না। মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্যই এসেছি। শনিবার সকালে কলকাতা স্টেশনে পা রেখে এমনটাই বললেন আধাসামরিক বাহিনীর এক জওয়ান। এদিন রাজ্যে পৌঁছেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগাম বাহিনী হিসাবে তাদের পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছেন বলেও খবর মিলেছে।
শনিবার সকালে বিশেষ ট্রেনে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছয় ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদের কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন কলকাতা স্টেশনে নেমে বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ট্রেন থেকে নেমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান বলেন, ‘মানুষ যাতে নির্ভয়ে ভোটটা দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা এসেছি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। অবাধ নির্বাচন করানোই আমাদের লক্ষ্য।’
ইতিমধ্যে বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়ায় ১ কোম্পানি করে আধাসামরিক বাহিনী পৌঁছেছে। তাদের করোনার টিকাকরণের পর রুটমার্চে নামানো হবে বলে খবর। ইতিমধ্যে বীরভূমের কয়েকটি জায়গায় রুট মার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও খবর মিলেছে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কমিশনের কাছে আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। একই দাবি ছিল অন্যান্য বিরোধী দলেরও। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করানোর জন্য কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রায় ১,০০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে বলে সূত্রের খবর।