পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন প্রচারে কোপ দিয়েছে। আর একইসঙ্গে নিয়ে এসেছে কঠোর করোনাবিধি। সেই কড়া বিধি মেনে রাজ্যে পা রাখছেন না অমিত শাহ। সপ্তম আর অষ্টম দফার ভোটগ্রহণের আগে অমিত শাহ আর কোনও সভা করবেন না বলে বিজেপি সূত্রে খবর। নিজের সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শনিবার অমিত শাহের সমস্ত সূচি বাতিল করা হয়েছে। রামপুরহাট, বেলডাঙা এবং কলকাতার মানিকতলায় সভা ছিল অমিত শাহের।
এই রাজ্যে জনসভার থেকে বেশি রোড–শো করেছেন অমিত শাহ। ২২ এপ্রিল রোড–শো করার উপর কোপ দিয়েছে কমিশন। সুতরাং সব রোড–শো’র সূচি বদলে জনসভা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল সভা করবেন বলে জানিয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। সেখানেও সর্বোচ্চ ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা করে রাজ্য বিজেপি। অমিত শাহ কোথাও সভা করলে সেখানে বাড়তি ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই এই সূচি বদল বলে খবর।
তবে সবার আগে সিপিআইএম এবং তারপরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার, সভা–সমাবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সবার শেষে বিজেপি একই পথে হাঁটল। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব ঘোষিত জনসভা বাতিল করেছেন। তার মূল কারণই হল— ভিড় যেন না হয়। আজ সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সভা করবেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। ফেসবুক লাইভে আজ সন্ধ্যে ৭টায় তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। দেবেন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী বার্তা। সেই আবেদন করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই পরিস্থিতিতে শনিবার কলকাতার মানিকতলায় অমিত না আসায় সেখানে সভা করবেন দিলীপ। তিনি কলকাতায় আরও ৫টি ছোট সভা করবেন। মিঠুনের সভা বৈষ্ণবনগর ও দুবরাজপুরে রয়েছে। তা এখনও বাতিল হয়নি। অমিত শাহের বীরভূম সফর বাতিল হওয়ায় সেখানে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি ময়ূরেশ্বর, সাঁইথিয়া এবং বোলপুরে সভা করবেন। মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।