শুক্রবার সন্ধ্যায় আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এসে পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে কয়েকশো মিম সমর্থন উপস্থিত হন। রবিবার থেকেই প্রচার শুরু করবেন তিনি বলে খবর। যদি রবিবার দোল পূর্ণিমা। তবে করোনা আবহে এবার দোলে কতটা মেতে উঠতে পারবেন রাজ্যবাসী তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে বিধানসভা ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার ছিল প্রথম দফা। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। তাই প্রচারে এসেছেন ওয়েইসি বলে খবর।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে তিনি বাইপাসের ধারে একটি হোটেলে থাকবেন। রবিবার মুর্শিদাবাদ থেকে প্রচার শুরু করবেন। সেখানে তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। মার্চ মাসের গোড়ায় কলকাতার বন্দর এলাকায় একটি সভা করার কথা ছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। কিন্তু তখন পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তা ভেস্তে যায়।
ওয়েইসি আগমন নিয়ে এদিন নারায়ণগড় থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একজন এসেছে বিজেপির টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট কাটতে। হায়দরাবাদ থেকে এসেছে। বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এসেছে। কিন্তু এটা বিহার–উত্তরপ্রদেশ নয়। সংখ্যালঘু ভাই–বোনেদের বলব সতর্ক থাকতে। একটি ভোটও ওদের দেবেন না। কারণ ওরা কোনও কাজ করে না।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে তৃণমূল কংগ্রেসের একছত্র আধিপত্য ছিল তা এবার তিন ভাগে ভাগ হতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট ও ওয়েইসির মিমও নেমে পড়েছে ময়দানে।
বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে হুগলির ফুরফুরা শরিফে এসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করে তাঁর সঙ্গে কার্যত জোট বেঁধে ভোটে লড়ার প্রাথমিক আলোচনা সেরে গিয়েছিলেন ওয়েইসি। তবে বামেরা হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় মিম ছেড়ে সেদিকেই হাত বাড়ান আব্বাস। ফলে মিম আর কারোর সঙ্গে জোট করে উঠতে পারেনি। তাই রাজ্যে একাই লড়ার বার্তা নিয়ে চলে এসেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ।