দিন কয়েক আগে অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর ভয়েস চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ওই কথোপকথনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে শক্তিশালী ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনপ্রিয়তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমান তা মেনে নিয়েছিলেন তিনি। এর পরই দফায় দফায় নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল তাঁর আরেক ব্যাখ্যা। NDTV-কে সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘বিরোধীদের শক্তি ৪০ হলে আমি তাকে ৫০ বলে দেখাই।’
প্রশান্ত কিশোর এদিনও স্বীকার করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী। সঙ্গে এও স্বীকার করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জনপ্রিয় বলে মনে করেন তিনি। তবে পিকের যুক্তি, আমি আমার বিরোধীদের দুর্বল ভাবি না। বরং তাদের শক্তি বেশি ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে পছন্দ করি। ধরা যাক পশ্চিমবঙ্গে মোদীর জনপ্রিয়তা ৪০। আমি আমার টিমের সদস্যদের বলি, ৫০ ধরে এগোতে। কারণ ভোটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করবেন। তাতে তার জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়তেও পারেন।
প্রশান্ত কিশোরের এদিনের যুক্তিও হজম হচ্ছে না অনেকের। তাদের দাবি, জনপ্রিয়তা মাপা হয় শতাংশের নিরিখে। একই সঙ্গে ২ জন বিরোধী রাজনৈতিক নেতার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাহলে বিরোধীপক্ষের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে ধরলে নিজের পক্ষে জনপ্রিয়তা কমছে বলে ধরতে হয়। সেক্ষেত্রে মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা কমতেই হবে। বিচ্ছিন্নভাবে মোদীর জনপ্রিয়তার কীসের নিরিখে মাপা হবে তাও এদিন স্পষ্ট করেননি তিনি।