লোকসভা নির্বাচনে বামের ভোট রামে গিয়েছিল বলেই বিজেপির আসন সংখ্যা ১৮ পৌঁছেছিল। এবার সংযুক্ত মোর্চার পুরো ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল কংগ্রেসে ট্রান্সফার হয়েছে। আর তাতেই দিদি দুশো পার করেছেন। আর এই বাংলায় তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার হবে বলে দাবি করেছিলেন। আর তার পাল্টা জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ডাবল সেঞ্চুরির বেশি আসনে জয় পাবে। কিন্তু বামেরা একটি আসনও না পাওয়ায় তিনি হতাশ।
একুশের নির্বাচনে সিপিআইএম–কংগ্রেস–আইএসএফ এই তিনজনের জোট হয়েছিল। যা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাদনীতি। ব্রিগেডে বড় সভা হয়েছিল। আবার প্রথা ভেঙে সিপিআইএম এবার একঝাঁক তরুণ মুখকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু ফলাফল বলছে, বিধানসভায় এবার আর জায়গা পাচ্ছে না সিপিআইএম–কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চা থেকে একমাত্র ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন আইএসএফ–এর নওসাদ সিদ্দিকি। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম বাম–কংগ্রেসহীন বিধানসভা দেখবে বাংলার মানুষ। আর এই বামহীন বিধানসভা দেখে হতাশ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মমতার কথাতেও বামশূন্য বিধানসভা নিয়ে হতাশা ধরা পড়ে। ২০১১ সালে সিপিআইএম–কে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তিনিই। কিন্তু আজ বিরোধী হিসাবে বামফ্রন্টকে না দেখতে পেয়েই তিনি হতাশ। তাই মমতা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বাম–কংগ্রেস সংঘাত থাকতে পারে। কিন্তু আমি কাউকে শূন্য হিসেবে দেখতে চাই না। ওদের একটা অংশ এলে ভালো হতো। বিজেপির থেকে ওরা ভালো। নিজেদেরই বিজেপির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।’ উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের তৃণমূল কংগ্রেসে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।