কোচবিহারের শীতলকুচিতে সিআরপিএফের ওপর হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার শিলিগুড়িতে এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর মানুষকে ভোট লুঠ করতে শেখাতে কেন হচ্ছে দিদি?’
শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে শীলতকুচির আমতলি কাজিপাড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। তৃণমূলের দাবি নিহতরা তাদের সদস্য। এই নিয়ে মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক চর্চা। মৃত্যুর জন্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। পালটা ঘটনার জন্য মমতাকেই বেঁধেন মোদী।
এদিন মোদী বলেন, ’১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন ভোট লুঠ করতে শেখাতে হচ্ছে দিদি? কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে শেখাতে হচ্ছে?’ এর পরই বাহিনীর হয়ে সওয়াল করে মোদী বলেন, ‘যে বাহিনী জঙ্গিদের ভয় পায় না সে আপনাকে ভয় করে এটা আশা করেন কী করে?’এদিন মোদী বলেন, মমতার প্ররোচনাতেই রক্তপাত হয়েছে শীতলকুচিতে।
পালটা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বাজে কথা। এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা প্রধানমন্ত্রী কী করে বলেন জানি না। এটা জাতির লজ্জা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন কলকাতায়। আর গুলি চলল কোচবিহারে। কী করে প্ররোচনা দেবেন উনি?’
বলে রাখি চলতি সপ্তাহে কোচবিহারে ভোটপ্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন।