একুশের বিধানসভা নির্বাচন যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের ভোট। অথচ ২ মে যে ফল ঘোষণা হয়েছে তাতে বাংলা ফের মমতার দখলে। সোমবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোভিড পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে নির্বাচনের নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। সুতরাং নির্বাচন জিইয়েই রইল।
সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ১৫ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনায় প্রয়াত হন। সুতরাং নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। আবার জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২৬ এপ্রিলই ভোট হওয়ার কথা ছিল। সেখানেও করোনার জেরে ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় ওই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপির লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর। তাই ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে ভোটের দিন ঘোষণা করে। যা কিনা সম্ভাব্য ইদের দিন। তাই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তখন পুনর্নির্বাচনের দিন বদলে দেওয়ার দাবিতে সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটেরও দাবি জানান। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তিতেই পরে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। দুই কেন্দ্রে ভোট হবে আগামী ১৬ মে। কিন্তু এবার করোনার জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছনো হল ভোট।