আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে অষ্টম ও শেষ দফার ভোট। তার আগেই বীরভূমে ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। বিজেপি নেতার বাড়ির বারান্দায় প্লাস্টিকের ব্যাগে করে বোমা রেখে গেল দুষ্কৃতীরা! বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বেরে। বিজেপি নেতার বাড়ির বারান্দায় উদ্ধার হয়েছে প্লাস্টিক ভরতি তাজা বোমা। অন্য দিকে, সাঁইথিয়ায় একটি পুকুর পাড় থেকেও বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনাটি ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর থানার রাংতাড়া গ্রামের। সেখানকার বিজেপির বুথ সভাপতি জয়দেব চক্রবতীর বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। বুথ সভাপতির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়ির বারান্দায় একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে মুড়িয়ে বোমা ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে।
এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওই বিজেপি নেতা বাড়ির বারান্দায় বোমার ব্যাগটি ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নিজেই গিয়েই মল্লারপুর থানায় খবর দেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, ভোটের আগে তৃণমূলের নামে বদনাম ছড়াতে এসব ফন্দি আটছে বিজেপি।
এদিকে, সাঁইথিয়া থানার আমোদপুর ফাঁড়ির সৃণিধিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিওর গ্রামের একটি পুকুর পাড় থেকে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। বোমগুলোকে ঘিরে রাখে পুলিশ। বম্ব স্কোয়ার্ডকে খবর দেওয়া হলে, তারা গিয়ে সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।
প্রসঙ্গত, অষ্টম ও শেষ দফা ভোটের আগে কমিশনের মাথাব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছ অনুব্রত মণ্ডল ও বীরভূম। কারণ, বীরভূম অতি স্পর্শকাতর একটি এলাকা। গত কয়েকদিন ধরেই বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূম। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোটাই কমিশনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে বীরভূমের পুলিশ সুপার পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম ভোটের দিন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। নন্দীগ্রামের নির্বাচনের সকাল থেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকে কড়া মেজাজে দেখা যায়। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে এই আইপিএস অফিসারকে উত্তর দিতেও দেখা গিয়েছিল।