রাজনৈতিক সভায় কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশেই রাজনৈতিক সভায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন! এদিন টুইট করে এমনই অভিযোগ তুললেন অভিষেক।
করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে বাংলায় চারটি সভা বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অবস্থায় ভোটের পদ্ধতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। এদিন সন্ধেবেলায় কমিশনের তরফে আবার নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত রাজনৈতিক মিছিল, রোড শো’য় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকেই তুলোধনা করছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তিনি এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে কমিশনকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘ এরাজ্যে সভা বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই আপনারা রাজনৈতিক মিটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা করলেন! কি কাঁকতালীয় ব্যাপার না, ইসিআই?’
তিনি আরও লেখেন, ‘ নির্বাচন কমিশন আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই তারা এই পদক্ষেপ নিল।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার অর্থাৎ আজ এরাজ্যে চারটি সভা করতে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু আজই আবার দিল্লিতে করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থাকার কারণে, বঙ্গ সফর বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী। ওদিকে গতকালই হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ বলেছিলেন, ‘ মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি, দায়সারা কাজ করছে কমিশন। আদালত নিজের পর্যবেক্ষণে জানায়, সবকিছু মানুষের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না কমিশন।’
তারপরই নড়েচড়ে বস কমিশন। এদিন সন্ধেবেলা নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন সমস্ত মিছিল, রোড শো’য় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাতে রোড শো, পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনসভা করলেও ৫০০ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হন, সে বিষয়ে আরও কড়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।