হাতে চে গুয়েভারার ট্যাটু, কাঁধে গেরুয়া পতাকা, শিলিগুড়িতে জিতলেন বিজেপির শংকর ঘোষ। একদা ছায়াসঙ্গী, প্রাক্তন ডিওয়াইএফআই নেতা শংকর ঘোষের কাছে পরাজিত হলেন প্রবীন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, কার্যত তৃতীয় স্থানে চলে গেলেন তিনি। মাস খানেক আগেই বাম ছেড়ে রামে ভিড়েছিলেন শংকর ঘোষ। হাতের চে গুয়েভারার ট্যাটুটা তখনও ছিল। সেই অবস্থাতেই গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর প্রার্থীপদও পেয়েছিলেন। কিন্তু লড়াইতে প্রতিপক্ষ হিসাবে পেয়েছিলেন তাঁর একসময়ের রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে।
নিঃসন্দেহে কঠিন লড়াই। অশোক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই একদিন রাজনীতির অলিন্দে এসেছিলেন শংকর ঘোষ। সেই শংকরের কাছেই পরাজিত হলেন পোড়খাওয়া বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। আসলে এই বাংলায় বরাবরই ব্যতিক্রমী থেকেছে শিলিগুড়ি। ২০১৬তে যখন গোটা বাংলায় সবুজের ঝড় তখনও লাল পতাকা উড়েছিল শিলিগুড়িতে। সেটাও সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। কিন্তু এবারও সেই শিলিগুড়ির দখল নিতে পারল না তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে থাকল তৃণমূল। হিলকার্ট রোডে উড়ল গেরুয়া পতাকা।
কেন হারলেন অশোক ভট্টাচার্য? মাঝপথেই কাউন্টিং হল ছেড়ে বেরিয়ে এসে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক লড়াই ছিল। লোকসভার ট্রেন্ডটাই থেকে গিয়েছে। রাজ্য জুড়েই সংযুক্ত মোর্চার বিপর্যয় হয়েছে। এটা আমার একার হার নয়। এটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষন করা হবে'। এখানেই প্রশ্ন, বাম ভোটব্যাংক গেল কোথায়? সেটাও কী তবে রামের কাছে গেল?
কী বলছেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী শংকর ঘোষ ? শংকর ঘোষ বলেন,' এই জয় দলগত জয়। শিলিগুড়ির মানুষ বিজেপিকে ভালোবেসেছেন। আমাকে ভালোবেসেছেন। সেকারণেই আমি জিতেছি।' তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে আসলে শিলিগুড়িতে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। বামেদের দুর্বলতা, কৌশল জানে এমন কাউকে প্রার্থী করে জয় হাসিল করেছে বিজেপি। অন্যদিকে শিলিগুড়ি যুব সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ শংকর ঘোষের পাশে ছিলেন। এর জেরে তাঁর জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়েছে।
'