আগামী রবিবারই কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? তা পুরোপুরি খোলসা করলেন না। তবে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্দল হয়ে মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা যায় না। সেই জায়গা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত আগামিকাল আপনাদের জানাব।’
গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিত্ব-ত্যাগ করেছিলেন রাজীব। তার ঠিক আটদিনের মাথায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। বিধানসভা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন। পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজীব বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি দলের সদস্য। আমি বিধায়ক পদ ত্যাগ করলাম। তবে এটাও ঠিক। একটা মানসিক প্রস্তুতির দরকার ছিল। সেই মানসিক প্রস্তুতিটা আমি (দীর্ঘ সময় ধরে নিয়েছি)। মন্ত্রিসভার ত্যাগ করার পরেও আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি সাতদিন অপেক্ষা করেছিলাম। আমি একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি মনে করি, সংসদীয় গণতন্ত্রে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে একটি কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকতে হবে। কারণ সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্দল হয়ে মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা যায় না। সেই জায়গা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত আগামিকাল আপনাদের জানাব।’
আজ (শুক্রবার) দু'দিনের বঙ্গ সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর রবিবার ডুমুরজলায় সভা আছে তাঁর। সেখানেই রাজীব, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, উত্তরপাড়ার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল-সহ একঝাঁক নেতানেত্রী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। রথীন তো ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ডুমুরজলায় সভায় থাকছেন তিনি। তাহলে সেদিনই রাজীব পদ্ম-শিবিরে যোগ দিচ্ছেন কি? তা খোলসা করে বলেননি প্রাক্তন বনমন্ত্রী। জল্পনা জিইয়ে রেখে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক। এখনও পর্যন্ত আগামী বিধায়ক পদ ছেড়েছি। যদিও কোনও সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে নিশ্চিতভাবে আমার ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেব।’