করোনার থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না প্রায় কেউই। কেউ প্রতক্ষ্যভাবে কেউ বা পরোক্ষভাবে। ব্যক্তিবিশেষে শারীরিক,মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে এই ভাইরাস লাগাতারভাবে পর্যদুস্ত করে চলেছে প্রায় সবাইকেই। এবার খাদ্যরসিকদের জন্য দুঃসংবাদ। করোনা অতিমারীর কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে চলেছে শহরের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতহ্যশালী বেকারি 'কুকি জার'।করোনার প্রথমবার হামলা কোনওভাবে সামাল দিতে পারলেও এই দ্বিতীয় ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারছে না তারা। একে করোনার কারণে বিক্রি বাট্টা নেই তেমন প্রায়। তার ওপর এই করোনা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা ও বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানপাট। স্বাভাবিকভাবেই এই নতুন সরকারি নিয়মে ব্যবসার দিক থেকেও জোর ধাক্কা খেয়েছে বলে জানানো হয়েছে কুকি জারের কর্ণধারের তরফে। অগত্যা আর উপায় না দেখে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কুকি জার।
কুকি জার-এর অন্যতম কর্ণধার লাভি কাপুর জানিয়েছেন, গতবছর করোনা হানার পর তারা সামলে উঠেছিলেন কোনওভাবে। নিউ নরম্যাল লাইফেও কুকি জারের শোরুমে গেলেই দেখা মিলতো হরেকরকম পেস্ট্রি ও কেকের। তবে এই দ্বিতীয়বারের করোনা ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল হয়ে পড়েছেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, বিক্রিবাট্টা একেবারেই তলানিতে এসে থেকেছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৭টায় দোকান খোলা হলেও অত সকালে কেক পেস্ট্রি কিনতে কেউ আসেন না। এদিকে দোকান ও কারখানার কর্মচারীদের পাবলিক ট্রান্সপোর্টেই নিত্যদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অনলাইন ডেলিভারিতেও খুব একটা সুবিধে করা যাচ্ছে না। তাই কোনও উপায় না দেখেই এই পদক্ষেপ।
তাহলে ফের কবে খুলবে কুকি জার? কবে ফের পাওয়া যাবে চকোলেট মাউসি, লেমন টার্টস, চিকেন এনভেলপ এর মনমাতানো স্বাদ ও গন্ধ? জবাবে লাভি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি যখন ঠিক হবে এবং রাজ্য সরকার ফের একবার দোকানপাট সংক্রান্ত নতুন ঘোষণা করবেন সেদিন ফের চিন্তাভাবনা করবেন তাঁরা। তার আগে আপাতত এইমুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।