ঠিক এক বছর আগে আজকের দিনেই মুক্তি পেয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘ছিছোড়ে’। পরিচালক নীতিশ তিওয়ারির এই ছবিতে অনিরুদ্ধ পাঠকের ভূমিকায় সুশান্তের অভিনয় দাগ কেটেছিল দর্শক মনে। তবে কে জানত ছবির এক বছর পূর্তির দিন ‘LOSERS’ টিমের 'E' শুধুই থাকবেন স্মৃতির পাতায়। সেই কঠিন সত্যিটা মনে করেই আজ সুশান্তের স্মৃতিতে আবেগঘন শ্রদ্ধা কাপুর, নীতিশ তিওয়ারি, বরুণ শর্মারা।
এদিন টিম ছিছোড়ের তরফে একটি বিশেষ ভিডিয়ো শেয়ার করা হল অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে। স্মৃতির পাতা থেকে ছিছোড়ের শ্যুটিংয়ের সময় সুশান্তের নানান মুহূর্ত উঠে এল এই ভিডিয়োতে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে- ‘ওহ দিনভি ক্যায়া দিন থে’। এই ভিডিয়ো শেয়ার করে শ্রদ্ধা লেখেন ‘ ভালোবাসায় ভরপুর স্মৃতিতে…’। অন্যদিকে পরিচালক নীতিশ তিওয়ারি টুইট বার্তায় লেখেন ‘তুমি আজীবন আমাদের মনে থাকবে’।
সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল ছিছোড়ে। সুশান্তের কেরিয়ারের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি ছিছোড়ে। বক্স অফিসে ১৫৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবি। সুশান্তের শেষ বক্স অফিস রিলিজ এই ছবি। অভিনেতার শেষ দুটি ছবি রুপোলি পর্দায় দেখবার সুযোগ হয়নি রুপোলি পর্দায়। ড্রাইভ ও দিলবেচারা মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এদিন সাজিদ পত্নী ওরাদাও সুশান্তকে স্মরণ করে লেখেন, ‘সুশান্ত…তুমি আজীবন আমাদের হৃদয়ে ঘর করে থাকবে’।
সুশান্তের কো-স্টার হিসাবে শ্রদ্ধা কাপুর ছাড়াও এই ছবিতে দেখা মিলেছিল তাহির রাজ ভসিন,বরুণ শর্মা, নবীন পলিশেট্টি, তুষার পাণ্ডে, প্রতীক বব্বরদের।
নীতিশ তিওয়ারির এই ছবি বলেছিল এক মধ্যবয়সী ডিভোর্সি অনিরুদ্ধ পাঠকের গল্প। , কীভাবে অবসাদ বা ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে হয়! কীভাবে আত্মহত্যার চিন্তা থেকে বেরনো যায়! কীভাবে নতুন করে বাঁচতে শিখতে হয় তা শিখিয়ে ছিল অনিরুদ্ধ। নিজের ছেলেকে নতুন করে বাঁচতে শেখাতে সে ফিরে গিয়েছিল নিজের কলেজ জীবনে। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সে ছেলেকে বলেছিল জীবনে হেরে যাওয়া মানেই তুমি 'লুজার্স' নও। জেতার চেষ্টাটাই হল আসল জয়।
হ্যাঁ, আত্মহত্যা না করার পাঠ পর্দায় লক্ষ লক্ষ দর্শককে দিয়ে গিয়েছেন সুশান্ত। তাই বাস্তবে কি এমন একটা মানুষের পক্ষে আত্মহত্যা করা সম্ভবপর? নাকি সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অনেক বড় কোনও রহস্য। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব তাঁর অনুরাগীরাও।