সচেতনতামূলক কাজের ক্ষেত্রে একদম প্রথম সারিতে থাকেন এই বলিউড সুন্দরী। পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে ময়দানে নেমে কাজ করছেন দিয়া মির্জা। করোনা সংকটেও শুরু থেকেই দেশবাসীকে সচেতন করছেন প্রাক্তন মিস এশিয়া প্যাসিফিক।ফিভার নেটওয়ার্কের #100Hours100Stars অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন অভিনেত্রী। RJ স্তুতির সঙ্গে মন খোলা আড্ডায় পাওয়া গেল নায়িকাকে।
‘আমি সৌভাগ্যবান আমার মাথায় ছাদ রয়েছে,আমি আমার ভালোবাসার মানুষজনের সঙ্গে আছি,মায়ের সঙ্গে রয়েছি। আমার জীবন অনেক সহজ-অনেকে খুব কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। এই সময়টা হয়ত আমরা উপলব্ধি করছি,আমাদের স্বাধীনতাটা আমরা খুব সহজভাবে নিয়ে নিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে বাইরে বার হওয়ার স্বাধীনতার মূল্যটা প্রতি পদে পদে আমি বুঝতে পারছি’,জানালেন দিয়া।
ভবিষ্যতে পরিস্থিতি পাল্টাবে, আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী। কিন্তু মানুষকেও আরও বেশি পরিবেশ সচেতন হতে হবে মনে করছেন দিয়া মির্জা। তিনি জানান, ‘আমি নিশ্চিত পরিস্থিতি বদলাবে, ভ্যাসকিন আবিষ্কার হবে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। কিন্তু এটা আত্মবিশ্লেষণের একটা সময়-প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্যের যে যোগ করেছে সেই সত্যিটা আশা করি আমরা বুঝব। গত ১৫ বছর ধরে আমি পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছি। স্বাস্থ্যই সম্পদ-কিন্তু শুধু জিম-যোগ করে কিছু হবে না। এর জন্য দরকার বিশুদ্ধ বায়ু, পরিষ্কার জল, জলের উপযুক্ত জোগান,আর প্রয়োজনীয় খাবারের সংস্থান। আমরা প্রকৃতির যে ভারসাম্য নষ্ট করেছি,সেটা কীভাবে ভবিষ্যতে কমানো সম্ভব সেটা দেখতে হবে। জীবন অনেক সহজ-সুন্দরভাবেও বাঁচা যায়। আমরা প্লাস্টিকমুক্ত জীবনেও খুশি থাকতে পারি’।
লকডাউনে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোর মূল্যও আরও বেশি করে উপলব্ধি করছে মানুষজন। মনে করেন দিয়া মির্জা। এই প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া আর্থ অকপটভাবে স্বীকার করে নিলেন ‘আমার ওসিডি সমস্যা রয়েছে’। দিয়ার কথায় শুধু লকডাউন বলেই নয়,তিনি আশেপাশে কোনও নোংরা জিনিস দেখতে পারেন না। চারপাশ পরিষ্কার রাখতেই লকডাউনের একটা বড় সময় চলে যায় তাঁর। দম কো-স্টার বিকেক ওয়েরয়ের প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রী বলেন-‘বাড়িতে পরিচারিকা লাগলে দিয়াকে নিয়ে যাও’- এমনটাই বলে বেড়াতেন বিবেক।
শুধু নিজের বাড়ির খেয়াল রাখাই নয় তাঁর বিল্ডিংয়ের সমস্ত বয়স্ক মানুষকে জরুরি জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার দয়িত্ব সামলাচ্ছেন দিয়া।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।