বিতর্ক যেন আর পিছু ছাড়ে না আমির খানের। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সারা দিয়ে ‘দ্য হর ঘর তেরঙ্গা’ উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন তিনি। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের ডাক দিয়েছেন মোদী। যেখানে তিনি আবেদন করেছিলেন যাতে ২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিপিতে তেরঙ্গা রাখে। সঙ্গে নিজের নিজের বাড়ির ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবসে। আর সেই ট্রেন্ডেই গা ভাসালেন আমির। মুম্বইয়ের বাড়িতে লাগিয়েছেন জাতীয় পতাকা। শুধু তাই নয় সোশ্যাল মিডিয়ার ডিপিও বদলেছেন। আপাতত এই টপিকই এখন চারদিকে ভাইরাল।
আসলে অনেকেরই মত এসব হল আমির খানের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার চেষ্টা। কারণ ২ তারিখ থেকে ডিপি বদলানোর অবেদন করা হলেও তিনি তা করেছেন ১৩ তারিখ। ঠিক তখন, যখন তাঁর সিনেমা ভারতীয় সেনা জওয়ানদের অপমান করেছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেই তো ছবি বয়কট করার ডাক দেশজুড়ে। তাই অনেকেরই মত, ‘এসব সব নাটক’। আরও পড়ুন: কথা দিয়েও কথা রাখল না নন্দন? ‘এবং ছাদ’-এর স্ক্রিনিং বাতিল হওয়ায় হতাশ শ্রীলেখা
দিল্লির এক আইনজীবী শুক্রবার এই ছবির বিরুদ্ধে দিল্লির পুলিশ কমিশানার সঞ্জয় অরোরার কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আইনজীবী বিনীত জৈন জিন্দালের তরফে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। ছবিতে আপত্তিকর দৃশ্য দেখানোর জন্য আমির খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি তুলেছেন আইনজীবী। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ (দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশ্যে কাউকে উত্যক্ত করা) এবং ১৫৩এ (ভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা), ২৯৮ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত) এবং ৫০৫ (প্রকাশ্যে ভুল বিবৃতি) ধারায় আমির খান, অদ্বৈত চন্দন এবং প্যারামাউন্ট পিকচার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগের প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে, একজন মানিসকভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তি ভারতীয় সেনায় যোগ দেয় এবং কার্গিলের যুদ্ধে শামিল হয়। এটা কারুর অজানা নয়, কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার সেরা আধিকারিকরা অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনা জওয়ানরা যে ভালো করে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিল সেটা স্বীকৃত সত্য। কিন্তু, তা দেখানো হয়নি এই ছবিতে। বরং ইচ্ছে করে ভারতীয় সেনার গরিমা নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে।’
বছরকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, ভারত ক্রমাগত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। তখন তাঁর তৎকালীন স্ত্রী (কিরণ খের) বলেছিলেন তাঁরা নাকি ছেলে আজাদ রাও খানকে নিয়ে দেশ ছাড়ার কথাও ভাবেন। সেই সাক্ষাৎকার আগুনের মতো ছড়িয়েছিল। আর তা এখনও নেভেনি। এই প্রসঙ্গেই উঠেছিল লাল সিং চাড্ডা বয়কটের ডাক। যদিও আমির তকও দাবি করেছিলেন তাঁর কথার ভুল অর্থ করা হয়েছে। তিনি দেশ ছাড়ার কথা ভাবতেও পারেন না!