দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে। টলিপাড়ায় এই দুই তারকার প্রেমচর্চা বহুদিনের। বিয়ে না করেই বহু বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা। তবে শেষপর্যন্ত ২০২০ সালে আইনি বিয়ে সারেন দীপঙ্কর দে। আর ঠিক তার পরদিনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল দীপঙ্কর দে-কে। এটা নিয়ে অবশ্য টলিপাড়ায় কিছু কম চর্চা হয়নি। অনেকেই মুচকে মুচকে হেসেছিলেন। তবে যে যাই বলুন, দীপঙ্কর দে-দোলন রায়ের সম্পর্ক অটুট, নিজেদের সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তিকে ঢুকতে দেননি তাঁরা।
তবে বয়সের এতটা পার্থক্য সত্ত্বেও সুখী দম্পত্যে চাবিকাঠি কী? এপ্রশ্নটা অবশ্য অনেকের মনেই ঘুরে বেড়ায়। একই প্রশ্ন জেগেছিল 'দাদা' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনেও। 'দাদাগিরি' মঞ্চে সেকথা জিগ্গাসা করেই ফেললেন সৌরভ। তা কী উত্তর দিলেন দিলেন দীপঙ্কর ও দোলন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সহজ উত্তর দিয়েছেন বর্ষীয়ান দীপঙ্কর দে। তাঁর কথায়, ‘তেমন কিছু নয়, একটু বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়ানো।’
আরও পড়ুন-গরিব শিশুর বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন, মোদীর দরবারে তৃণমূলের নুসরত, এল সাহায্য
এদিন দোলন রায়ের মাথায় চুলে ‘লাল স্ট্রিপ’ রং দেখে সৌরভ দীপঙ্কর দেকে প্রশ্ন করে, ‘এই যে ওঁর মাথায় এই লাল স্ট্রিপ তা নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?’ উত্তরে দীপঙ্কর দে বলেন, ‘কেমন একটা লাগে।’ এমন কথায় হেসে ফেলেন দোলন রায়। বলেন, ‘আমার এমন চরিত্র থাকে, আমি চুল, নখ, কোনওকিছুতেই কোনও ফ্যাশান করতে পারি না। তবে জানুয়ারি অবধি, তেমন কিছু নেই, তাই এটা করেছি।’ এমন কথায়, মজা করে ফুট কেটে সৌরভ বলেন, ‘জানুয়ারি অনেক দেরি, তার আগে দীপঙ্কর বাবুই পাল্টে দেবেন।’
কথায় কথায় দীপঙ্কর ও দোলন জানান, তাঁর সিনেমা, টেলিভিশন, যাত্রা সবেতেই একসঙ্গে কাজ করেছেন। তবে 'যাত্রা'তেই বেশি। দোলন রায়ের কথায়, ‘যাত্রাতে আমারা কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকতাম, তাই ওটা বেশি পছন্দের।’ দীপঙ্কর দে বলেন, ‘যাত্রা সিনেমা, সিরিয়ালের থেকও অনেক বেশি জনসংযোগকারী মাধ্যম।’ দীপঙ্কর দে জানান, অভিনয় দুনিয়ায় তিনি ৪৯ বছর পার করে ফেলেছেন। সত্যজিৎ রায়ের 'সীমাবদ্ধ' (১৯৭১) ছবি দিয়ে কাজ শুরু করেন।কীভাবে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়, সে গল্পও করেন দীপঙ্কর দে। সৌরভ জানান, দোলন রায় তখন নায়িকা , এমন একটি নাটক তিনি ২২ বার দেখেছেন, প্রথম সারিতে বসে।