মঙ্গলবার মধ্যরাতে জরুরী ভিত্তিতে পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন তাঁর বোন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এ পজিটিভ রক্ত চাই। অভিনেতার আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয় সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বোনের।
ফেসবুকের পাতায় রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানানোর সঙ্গে বোনকে হারানোর খারাপ খবরটিও জানান অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়। লেখেন, ‘বেলভিউতে ভর্তি হওয়া আমার ছোট বোন পিয়াশী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য A+ রক্তের ব্যবস্থা করার জন্য আমি শেষ পোস্ট করেছিলাম গতকাল। আমি প্রত্যেক রক্তদাতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যাঁরা আমাকে আমার বোনকে বাঁচাতে বহুদূর থেকে এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, আমি আপনাদের এই অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি বোন আর নেই। আমি বিধ্বস্ত।ডেঙ্গু ওকে ৩ রাতের মধ্যে কেড়ে নিল। তাই ওর জন্য আমার আর কোনো রক্তদাতার প্রয়োজন নেই .. আপনারা ওর অনন্ত সুখ এবং শান্তি জন্য প্রার্থনা করুন। ওম শ্রী সাইরাম'।
আরও পড়ুন-'ওঁরা ভাবেন আমি বুড়ো হয়ে গিয়েছি', ওয়েলকাম-৩তে ডাক না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ নানা-র!
আরও পড়ুন-টরেন্টোতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি করণ, কী উত্তর দিলেন?
সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের এই পোস্টে নেটপাড়ার অনেকেই সমবেদনা জানিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সাহেবের এই বোন আসলে তাঁর মাসীর মেয়ে। তবে ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারানোর পর পিয়াশী সাহেবের মায়ের কাছেই বড় হন।
বোনের মৃত্য়ু প্রসঙ্গে সাহেব চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানান, ‘বুঝতেই পারলাম না যে কী ঘটে গেল! দুদিনে সব শেষ। আমার মাসির মেয়ে আর আমি একসঙ্গেই বড় হয়েছি। ওর দু'মাসের মেয়ে আছে। ওই মেয়ে আমার মাকে দেখানোর জন্য দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিল, মাত্র ৪০ বছর বয়স। হঠাৎই ডেঙ্গি ধরা পড়ে, মাল্টি অরগ্য়ান ফেল করে কী ঘটে গেল!’ জানা যাচ্ছে, সাহেবের দু'মাসের ভাগ্নীকে আপাতত রাখা হয়েছে সাহের বন্ধুর স্ত্রীর কাছে। অভিনেতার ভগ্নিপতি নয়ডায় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরত। বোনের আচমকা মৃত্যুকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সাহেব।