বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ সংঘশ্রী সিংহ। রোহন মিত্রর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ তিনি। দিদি নম্বর ১-এ এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন কীভাবে বিয়ে হল দু'জনের।
সংঘশ্রী জানান, সেই সময় ব্রেকআপ হয়েছে তাঁর। রাগের চোটে বাড়িতেও বলে দিয়েছেন যাকে পাবেন তাকেই বিয়ে করবেন। বট গাছ হলেও চলবে। এরপরই বাড়ি থেকে সম্বন্ধ দেখা শুরু। আর ম্যাট্রিমনির বিজ্ঞাপন দেখেই যোগাযোগ হয় রোহনের সঙ্গে। এদিকে তাঁকে দেখতে ছেলের বাড়ির লোক আসছে শুনেই সংঘমিত্রা বুঝে যান তিনি বাড়িতে রাগের মাথায় বলে খুব ভুল করে ফেলেছেন। আর তখনই ফোন করেন রোহন। বলেন, ‘আমি না সন্দেশ খেয়ে না বলতে চাই না। আমরা বাইরে দেখা করি?’
ওটা শুনে আরও মাথা গরম হয় সংঘশ্রীর। মাথায় আসে, ‘কী আমায় না করবে’! যদিও নিজেই গাড়ি নিয়ে যান দেখা করতে। আর প্রথম সাক্ষাতে ক্যাটক্যাটে মেরুন পঞ্জাবি পরে নাকি এসেছিলেন রোহন। আর এরকম ফ্যাশন সেন্স দেখে চোখ কপালে উঠেছিল তাঁর। যদিও পরে একদিন রোহন বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে মদ্যপ অবস্থাতেই নিজের ভালোলাগা জাহির করে সংঘশ্রীর কাছে!
রোহন রচনার সামনে বউ-এর প্রশংসায় বলেন, ‘ওর সবথেকে ভালো ব্যাপার হল ওর মনটা খুব পরিষ্কার। মুখে যা সামনেও তা। আমরা স্বামী-স্ত্রীর থেকেও খুব ভালো বন্ধু।’
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘শ্রীমতী’-তে অভিনয় করেছেন সংঘশ্রী। কাজ করেছেন ‘ফাটাফাটি’-তেও আবীর চট্টোপাধ্যায় আর ঋতাভরীর সঙ্গে। এর আগে বহুবার টলিউডের মধ্যে চলা বডি শেমিং নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। নিজে জানিয়েছেন চেহারার জন্য কত চরিত্র হারাতে হয়েছে তাঁকে।
সংঘশ্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘আমার বয়সী এমনকী আমার থেকে বড় অনেকেই নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন, কেবলমাত্র তাঁরা তন্বী বলে। মোটাদের এখনও নায়িকা হিসেবে মেনে নেওয়া হয় না। মোটারা যেন শুধুই কমেডি করবে!’