সে এক যুগ আগের কথা। ২০০৮ সাল। ম্যাডক্সের পুজোয় আড্ডায় মেতেছিলেন ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। তখনও তিনি অভিনেত্রী নন। নিছকই এক কলেজ পড়ুয়া। ত্বরিতার অজান্তেই এক সংবাদমাধ্যমে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়। আর সেই ছবির সূত্র ধরেই আসে 'ওগো বধূ সুন্দরী'তে অভিনয়ের প্রস্তাব।
অবাক হলেন, তাই তো?
স্টার জলসার এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকে 'ললিতা' হয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছিলেন ত্বরিতা। প্রযোজক রবি ওঝা স্বয়ং এই চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ত্বরিতা। তাঁর পরিবর্তে আসেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। 'ওগো বধূ সুন্দরী'র হাত ধরেই সাফল্যের প্রথম স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি।
ঈশান-ললিতার রসায়ন আর ছিমছাম গল্পের জোরে দর্শকের মন জয় করেছিল 'ওগো বধূ সুন্দরী'। শেষ হয়ে যাওয়ার এক দশক পরেও তাই চর্চার রসদ জোগায় এই ধারাবাহিক।
এমন সুযোগ ফিরিয়ে দিয়ে এখন আফসোস হয়? প্রশ্ন করতেই ত্বরিতার উত্তর, 'তখন আমি জানতাম না ধারাবাহিকটি এত সফল হবে। বাড়ি থেকে অভিনয় করার অনুমতি পাইনি। তাই না বলে দিতে হয়েছিল। তবে রবিজির সঙ্গে কাজ না করতে পারার আফসোস থাকবে। ওঁর সান্নিধ্যে থাকলে হয়তো আরও অনেক কিছু শিখতে পারতাম।'
মায়ের অমতে অভিনয় জগতে পা রাখতে চাননি ত্বরিতা। তাই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন পুষ্টিবিদ্যা নিয়ে। তাঁর কথায়, 'ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। মা একা আমাকে বড় করেছেন। এই পেশা সম্পর্কে তাঁর বিশেষ কোনও ধারণা ছিল না। আমিও মায়ের কথা অমান্য করতে চাইনি। রবিজির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি ঠিকই। কিন্তু উনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। আজ ওঁর কথা মনে পড়ে।'
ললিতার চরিত্রে অভিনয় করলে কেরিয়ারের লেখচিত্রটি কি অন্য রকম হত? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চান না ত্বরিতা। নিজের কাজ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে জি বাংলার 'কড়ি খেলা' ধারাবাহিকে। এ ছাড়াও 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি', 'বাঘ বন্দি খেলা', 'কাদম্বিনী'র মতো একাধিক ধারাবাহিক আছে তাঁর ঝুলিতে।