মাদক মামলায় অবশেষে জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন শুনানির নির্ধারিত সময় ১৩ দিন এগিয়ে এনে পরীমনিকে জামিন দিলেন ঢাকার মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের নির্দেশ দেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন বা অভিযোগপত্র না হওয়া পর্যন্ত পরীমনিকে জামিন দেয়া হয়েছে। জেলখানার লাল দেয়ালের ঘেরাটোপ থেকে বুধবার সকালে ২৬ দিন পর মুক্তি পান পরীমনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পরীমনি। পরীমনির পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট। সাদা ওড়না মাথায় বাঁধা ছিল। চোখে কালো চশমা, মাস্কটাও ছিল সাদা রঙের। চোখে ছিল কালো সানগ্লাস। গাড়ির সানরুফ দিয়ে মাথা বের করে অপেক্ষরত সাংবাদিক ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান পরীমনি।
গত ২২ অগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। পরে তার আইনজীবীরা এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পর জামিন শুনানির দিন এগিয়ে ৩১ অগস্ট ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার জামিন পান অভিনেত্রী।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার পরীমনির জামিন হলেও সঠিক সময়ে জামিনের কাগজ কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে তার জামিনের কাগজ যাচাই শেষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ঠা অগস্ট ব়্যাবের অভিযানে পরীমনির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মদ ও মাদক, এরপর গ্রেফতার হন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় নায়িকা। গ্রেফতারির পর তিন দফায় সিআইডি হেফাজতে জেরার মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নায়িকার তিন দফায় জামিনের আর্জি না-মঞ্জুর করেছিল ঢাকার মহানগর ও দায়রা জজ আদালত। পরীমনির গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়েছে প্রতিবেশী দেশে।