রাজ কুন্দ্রার নীল ছবি তৈরির মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। প্রায় ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন শিল্পা শেট্টির স্বামী। তদন্তে বারবার উঠে আসছে শিল্পার নাম। পুলিশের তরফে তাঁকে ইতিমধ্যে জেরা করা হয়েছে। এছাড়া ‘সামাজিক আদালত’ মানে নেটিজেনদের স্ক্যানেরর তলায় তো পড়তেই হয়েছে অভিনেত্রীকে। বাদ যায়নি তাঁর পরিবার ও বোন তথা বলিউডের ‘ফ্লপ’ অভিনেত্রী শমিতা শেট্টি।
রাজের HotShots অ্যাপে শমিতাকে লঞ্চ করার কথা ভাবা হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছিল স্ক্রিপ্ট! এরকমটাই দাবি করেছেন রাজের তদন্তে নাম উঠে আসা এক মডেল-অভিনেত্রী। তাছাড়া রাজকে জড়িয়ে নোংরা মন্তব্য তো আছেই। আর এবার শমিতা শেট্টি ট্রোলড হলেন আরেক আজব কারণে। রাজ কুন্দ্রা গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১৬ দিনের মাথায় শমিতা পা রাখলেন বাড়ির বাইরে। পাপারাৎজিদের ক্যামেরাবন্দি হলেন তিনি। কিন্তু শমিতার গন্তব্য অবাক করেছে সকলকে। কারণ তাঁকে দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের জুহুর এক স্যালোঁ-তে।
পরিবারের এক সদস্য যেখানে জেল হেফাজতে, সেখানে রূপচর্চার প্রতি শমিতার এই টান পছন্দ করেননি অনেকেই। ‘পরিবার চুলোয় যাক, এদের কাছে সাজ আগে’, ‘যাক বাবা, জামাইবাবুর কারণে কিছু তো ফুটেজ পেল’, ‘এঁরা এই অবস্থাতেও নিজেকে নিয়েই আগে ভাবে’… এরকম একাধিক কমেন্ট পড়েছে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়ো-তে।
শিল্পা শেট্টি-র ‘হাঙ্গামা ২’ মুক্তির মুখেই রাজ নীল ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। সে সময় দিদিকে ভরসা দিতে নেট-মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন শমিতা। সেটা নিয়েও তাঁকে ট্রোলড হতে হয়। তারপর একটি টুইট করে ‘মহব্বতে’ অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘‘কখনও কখনও আপনার মধ্যে শক্তি হয়তa সকলে দেখতে পায় না, কারণ তা বিরাট জ্বলন্ত শিখা হয় না… এটি কেবলমাত্র একটি ছোট্ট স্পার্ক যা ফিসফিস করে উজ্জীবিত করে তোলে, ‘তুমি এটা পারবে… চালিয়ে যাও’। অন্য লোকেরা কীভাবে আপনার শক্তি গ্রহণ করবে তা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’’