সবে মাত্র পুজো মিটেছে, এরই মাঝে অসুস্থ অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অগ্নিদেবকে। সেখানেই বাইপাস সার্জারি হবে তাঁর। আর একথা সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে নিজেই জানিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হার্টের বাইপাস সার্জারি হবে। দয়া করে ওঁর জন্য প্রার্থনা বজায় রাখুন, ধন্যবাদ।’ সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের এই পোস্টের নিচে অনেকেই অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এদিকে এর আগে সুদীপা আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার বিশেষ ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না, তিনি তাই বেশ চিন্তিত।
আরও পড়ুন-'তোমাকে ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারি না', বিশেষ মানুষের ছবি দিলেন শ্রাবন্তী
আরও পড়ন-পাশে রোনাল্ডো ও বান্ধবী জর্জিনা রড্রিগেজের সঙ্গে বক্সিং ম্যাচ দেখলেন সলমন, ভাইরাল হল ছবি
আরও পড়ুন-লুচি ভাজলেন, সুজি বানালেন…আরও কত কী! সিঙ্গাপুরের বাড়িতে লক্ষ্মী আরাধনায় ঋতুপর্ণা
এদিকে প্রত্যেক বছরের মতো এবারও সুদীপা ও অগ্নিদেবের বালিগঞ্জের বাড়িতে ঘটা করে হয়েছে দুর্গাপুজো। পুজোয় সুদীপা-অগ্নিদেব, তাঁর গোটা পরিবারের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন। তবে পুজোর মধ্যেও তাঁদের পরিবারে আসে খারাপ খবর। সুদীপা-অগ্নিদেবের প্রিয় পোষ্য বাঁটুলের মৃত্যুু হয় অষ্টমীর দিন রাতে। সেসময়ও ফেসবুকে পোস্ট করে নিজেদের মন খারাপের কথা জানিয়েছিলেন সুদীপা।
আনন্দবাজারকে 'রান্নাঘর' খ্যাত সঞ্চালিকা জানিয়েছিলেন, পোষ্য বাঁটুলের মৃত্যুতে ভীষণই কষ্ট পেয়েছেন অগ্নিদেব। কারণ বাঁটুলকে তিনি ভীষণই ভালোবাসতেন। আর তখনই সুদীপা তাঁর স্বামী অগ্নিদেবের অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘অগ্নিদেব, এমনিতেই অসুস্থ, বাইপাস সার্জারি হবে। তার পুজোর মধ্যে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। ’
প্রসঙ্গত, সুদীপা-অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল ২০১০ সালে। ইতিমধ্য়েই তাঁরা বিবাহিত জীবনের ১৩ বছর পার করে ফেলেছেন। তাঁদের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে, আদিদেব চট্টোপাধ্যায়।