গোটা দেশজুড়ে ‘আদিপুরুষ’ ছবির সমালোচনা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে এই ছবির মিমে। কোথাও রাবণকে ‘ডাবল ডেকার’ বলা হচ্ছে, তো কোথাও হনুমানের মুখের ভাষা শুনে গড়াগড়ি খাচ্ছে লোক। কোথাও আবার ইন্দ্রজিতের গোটা দেহ জুড়ে অত ট্যাটু দেখে বিরক্ত হয়েছেন দর্শকরা। মোদ্দা কথা ওম রাউতের ‘আদিপুরুষ’ যে হাইপ তুলেছিল, যেভাবে প্রচার সারছিল তারপর এই ছবি বিন্দুমাত্র দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি।
প্রথম কদিন মোটামুটি ভালো ব্যবসা করে নিলেও বিতর্ক শুরু হতেই, ছবিতে মোটামুটি কী আছে জানার পরই ধপ করে পড়ে গিয়েছে এই ছবির আয়। ছাড় দিয়ে, বিশেষ ঘোষণা করেও ফল মেলেনি। এক সপ্তাহ কোনও মতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ২৬০ কোটির গণ্ডি টপকেছে এই ছবি।
দর্শকদের এই ছবির যে যে জিনিস নিয়ে আপত্তি তার মধ্যে প্রধান হল চরিত্রের লুক এবং সাজ। কিন্তু আমরা রামায়ণে যা পড়েছি, সেই অনুযায়ী কল্পনায় রাম লক্ষ্মণ সীতা রাবণের যে রূপ আমাদের মনে আছে, বা ছোট পর্দায় যে রামায়ণ দেখেছি সেই অনুযায়ী যদি ‘আদিপুরুষ’ ছবির চরিত্রদের সাজানো হতো তাহলে কেমন হতো? এবার সেটাই করে দেখিয়ে দিল AI। মিডজার্নির সাহায্যে বানানো এই ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই।
AI নির্মিত ‘আদিপুরুষ’ ছবির চরিত্র দেখে সকলেরই একটাই মত, আসলের থেকে অনেক ভালো। এখানে ডাবল ডেকার রাবণ নেই। সীতার পরনে গেরুয়া বসন। রামের পেটাই চেহারার বদলে ছিপছিপে গড়ন, লম্বা চুল, গেরুয়া বসন এবং কপালে তিলক। একই রূপ লক্ষ্মণের। সীতা হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং নয়, স্নিগ্ধ, সুন্দর। হনুমানকে হনুমানের মতোই দেখতে। গোটা বিষয়টা দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। প্রশংসায় ছেয়ে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
এক ব্যক্তি লেখেন, 'আদিপুরুষ এর তুলনায় ঢের ভালো।' আরেকজন লেখেন, 'ভাই আপনারই উচিত ছিল এই ছবির অ্যানিমেশনের কাজ করা।' কারও কারও মতে, 'ভীষণ সুন্দর। এটাই যদি সত্যি হতো কত ভালো হতো।'