শাহরুখ খান এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন দু'জনই বলিউডের প্রথম সারির তারকা। একসঙ্গে কাজও করেছেন তাঁরা। তবে এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য খোলসা করেন একাধিক ছবি থেকে তাঁকে বাদ দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। কারনটা নাকি খোদ বিশ্ব সুন্দরীরই অজানা। সিমি গারেওয়ালের জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘রন্দেভু’তে একদা এই নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন অ্যাশ।
২০০০ সালে জোশ ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেছিলেন শাহরুখ-ঐশ্বর্য। সেখানে যমজ ভাই-বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই জুটি। এরপর মহব্বতেঁ, দেবদাসের মতো ছবিতে জুটি হিসাবে দর্শক দেখেছে তাঁদের। অনুষ্ঠানে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যের অন-স্ক্রিন কেমিস্ট্রির প্রশংসা করেন সিমি। তাঁদের কথোপকথনের মাঝে সিমি জানতে চান, বীর-জারা-সহ পাঁচটি সিনেমা থেকে কেন ঐশ্বর্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে ঐশ্বর্য পাল্টা বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমি কি করে দেব বলুন তো?' এরপরই একটু থেমে বলেন,'হ্যাঁ, একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্ত হঠাৎ করেই তা আর হল না, তাঁর কোনও ব্যাখাও মেলেনি। এমনকি আমি তাঁর কোনও উত্তরও পাইনি'। ঐশ্বর্য স্পষ্ট করে বলেন, ছবিগুলো না করতে পারা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত ছিল না। সিমি জানান, শাহরুখ একটি সাক্ষাত্কারে খেদ প্রকাশ করে বলেছেন তাঁর উচিত হয়নি ঐশ্বর্যর ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা।
এত বড় সব প্রোজেক্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া, কেমন অনুভূতি ছিল ঐশ্বর্যর? যখন তোমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই, অথচ তোমাকে পিছপা হতে হচ্ছে- কী বা বলবার, অবশ্যই খারাপ লাগে'। যদিও এই নিয়ে শাহরুখকে কোনওদিন কোনও প্রশ্ন করেননি ঐশ্বর্য, কারণ সেটি তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ অকপটে বলেন নীল নয়না সুন্দরী।
২০০৩ সালে এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন মাধ্যমে শাহরুখ বলেছিলেন,'যখন সামনের মানুষটির কোনও ভুল নেই তখন তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুব কঠিন।এটা খুব দুঃখজনক, কারণ অ্যাশ আমার ভালো বান্ধবী। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমার ভুল ছিল। তবে একজন প্রযোজক হিসেবে তা যুক্তিযুক্ত ছিল। তবে এসবের জন্য অ্যাশের কাছে আমি ক্ষমা চেয়েছি'। বি-টাউনে সেই সময় কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল সলমন-ঐশ্বর্যর ভাঙা সম্পর্কর জেরেই নাকি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাহরুখ।
ঐশ্বর্য শাহরুখকে শেষ রুপোলি পর্দায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছে ২০১৬ সালে 'অ্যায় দিল হে মুশকিল' ছবিতে অভিনয় করতে। শাহরুখকে করণ জোহরের এই ছবিতে অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছে, ঐশ্বর্য প্রাক্তন স্বামীর ভূমিকায় পর্দায় হাজির হয়েছিলেন বাদশা।