২২ জানুয়ারি উদ্বোধন, আপাতত চর্চায় অযোধ্যার রামমন্দির। অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের উদ্বোধন করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার ওই একই দিনে ৫১ একর জমির উপর সরযূ মন্দিরেরও উদ্বোধন করা হবে। মন্দির উদ্বোধন চর্চার মাঝে অযোধ্যাতে জমি কিনে আলোচনায় উঠে এলেন খোদ BIG B অমিতাভ বচ্চন।
হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন। মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই 'পবিত্র ভূমি' অযোধ্যাতে জমি কিনে ফেলেছেন অমিতাভ। সেখানেই তৈরি হবে Big B-র নতুন বাড়ি। জানা যাচ্ছে, অমিতাভ বচ্চন অযোধ্যার সাততারা মিক্সড ইউজ এনক্লেভের একটি প্লট কিনেছেন। অর্থাৎ ওই আবাসনটি হবে সাততারা সুবিধা যুক্ত। সরযূ পাড়ে সেই বাড়ি তৈরির দায়িত্বে রয়েছে মুম্বইয়ের ডেভেলপার ‘দ্য হাউস অফ অভিনন্দন লোধা’ (H0ABL)। যদিও এইচওএবিএল-এর গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই চুক্তির বিষয়ে বেশি কিছু জানানো হয়নি। তবে রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য সূত্রে জানা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চন যে প্লটে তাঁর বাড়িটি তৈরি করতে চান তার আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গফুট এবং এর মূল্য ১৪.৫ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পে তাঁর বিনিয়োগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বচ্চন বলেন, ‘আমি অযোধ্যায় সরযূতে অভিনন্দন লোধার বাড়ি তৈরির প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছি। এটি এমন এক শহর যেখানে আমার হৃদয়ে পড়ে আছে, এই শহরের সঙ্গে আমার আবেগ ও আধ্যাত্মাতিক সংযোগ রয়েছে। আর অযোধ্যার কালজয়ী আধ্যাত্মিকতা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং এক মানসিক সংযোগ রয়েছে যা ভৌগোলিক সীমানা অতিক্রম করে। এই শহরে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা নির্বিঘ্নে সহাবস্থান করে। আমি এই আধ্যাত্মিক রাজধানীতে আমার বাড়ি নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
প্রসঙ্গত বচ্চনদের আদি বাড়ি,অভিনেতার জন্মস্থান এলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) থেকে অযোধ্যা ৩৩০ নম্বর জাতীয় সড়কপথ দিয়ে মোট চারঘণ্টার রাস্তা।
এইচওএবিএল-এর চেয়ারম্যান অভিনন্দন লোধা বলেন, রামমন্দির থেকে মাত্র ১৫ মিনিট দূরে এবং অযোধ্যা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩০ মিনিট দূরে তৈরি হচ্ছে এই আবাসন প্রকল্প। সরযূর 'প্রথম নাগরিক' হিসেবে অমিতাভ বচ্চনকে স্বাগত জানাতে পেরে তাঁরা রোমাঞ্চিত।
প্রসঙ্গত রামমন্দিরের সঙ্গে অযোধ্যা শহরকেও আধুনিক নগরীতে রূপ দেওয়ার কাজও বেশ কয়েকবছর ধরে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার সরকার সেখানে জল প্রকল্প, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর তৈরির কাজ অনেকটাই শেষ করে ফেলেছেন। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে বহু আবাসন ও শপিং মল। এমনকি সেখানে লীলা প্যালেস হোটেল এবং রিসর্টও তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
অমিতাভ বচ্চন যে সরযূ প্রকল্পে জমি কিনেছেন, সেটি নদীর পাড়ে মোট ৫৩ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে। যেটাকে মিনি নগরী বললেও ভুল হয় না।