বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের তারকাখচিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিতাভ প্রশ্ন তোলেন সিনেমার বাক স্বাধীনতা নিয়ে। কথা প্রসঙ্গে ওঠে সেনসরশিপের কথাও।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন শাহরুখ খান, রানি মুখোপাধ্যায়, জয়া বচ্চন, অমিতাভ বচ্চনের মতো বলি তারকারা। আর সেখানে দাঁড়িয়েই সিনেমার উপরে লাগু হওয়া সেন্সরশিপের দিকে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল বিগ বি-কে।
অমিতাভ বলেন, ‘১৯৫২ সালে সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট সেন্সরশিপের কাঠামো নির্ধারণ করে যা এখনও বহাল আছে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ড (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন) দ্বারা। কিন্তু এখনও উপস্থিত পুরুষ ও মহিলারা, মঞ্চে থাকা আমার সহকর্মীরা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে আজকাল-- নাগরিক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।’
তবে অমিতাভের এই বক্তব্য নতুন বিতর্ক জন্ম দিয়েছ। নিশানায় যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের সহ-ইনচার্জ অমিত মালব্য অমিতাভের বক্তব্যের রেশ ধরেই নিশানা হেনেছেন মমতার দিকে। বলেন, ‘অমিতাভ বচ্চনের কথাগুলি এর চেয়ে বেশি যযার্থক হতে পারে না কারণ তা কলকাতায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে বলা হয়েছে... এটা সেই অত্যাচারীর সামনে আয়না ধরার মতো, যার নেতৃত্বে ভারত নির্বাচন-পরবর্তী সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হিংসার সাক্ষী ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘অমিতাভ বচ্চনের কথা একেবারেই সঠিক। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার লেশমাত্র নেই। পশ্চিমবঙ্গ গত বছর ভোট-পরবর্তী সবচেয়ে খারাপ হিংসাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। এটা বলার জন্য সাহস লাগে, আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই। দিদির উচিৎ এবার অন্তত আত্মবিশ্লেষণ করা ও বাংলাকে প্রতিটা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে আটকানো।’
এদিকে বিজেপির করা এই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি টুইট করেন, ‘ইসসস বিজেপি যদি একটা বুদ্ধিসমেত ট্রোল ভাড়া করতে পারত মুখ্যমন্ত্রীর উপর। বচ্চন জি হলেন বাংলার ‘জামাই’। তিনি তাঁর দ্বিতীয় বাড়ির মাটিকে চেনেন। জানেন এই জায়গায় স্বাধীনতা এবং সাহসীদের বাস। তাই তিনি কিফের মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন বিজেপির শিল্পকলায় বয়কট ও নিষেধাজ্ঞা জারি করার স্বভাবের নিন্দার জন্য।’