এই বছর আলোর উৎসব একটু বেশি স্পেশ্যাল কলকাতার কন্যে তোর্সা চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই কেবিসি-র হট সিটে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি, কিন্তু গত বছর তীরে এসে তরী ডুবে যায়! 'ফাস্টেট ফিঙ্গার ফাস্ট' রাউন্ড পর্যন্ত পৌঁছালেও সেটি জিতে হট সিট পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তোর্সা।
১৫ নম্বর সিজনে ‘ফাস্টেট ফিঙ্গার ফাস্ট’ কাঁটা পেরিয়ে অমিতাভের মুখোমুখি তোর্সা। খেলা শুরুর আগেই তোর্সা জানালেন কঠিন সময়ে কেমনভাবে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন অমিতাভ। গত সিজনে হট সিটে না পৌঁছাতে পারার যন্ত্রণা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তোর্সাকে। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন তিনি, তবে তাঁর জীবন বদলায় অমিতাভের চিঠি! এদিন অমিতাভকে শুরুতেই তোর্সা বলেন, ‘আপনার মনে আছে কিনা জানি না, তবে গত বছরও আমি এই শো-তে এসেছিলাম। ঠিক আপনার পিছনে বসেছিলাম। ফাস্টেট ফিঙ্গার ফাস্ট খেললেও হট সিটে পৌঁছাতে পারিনি।’
তোর্সা বলে চলেন, ‘আমি প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলাম। হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আর কোনওদিনও অংশ নেব না (কেবিসিতে)। কিছু করতেই ভালো লাগছিল না। এরপর আচমকাই একটা সারপ্রাইজ পেলাম। পোস্টম্যান এসে চিঠি দিল, সেটা আপনার পাঠানো। তাতে লেখা ছিল, আরও পরিশ্রম কর, একদিন সফল হবেই। দেখুন স্যার, আমি পরিশ্রম করেছি আর আজ এখানে পৌঁছেছি।’ তোর্সার পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানান অমিতাভ। বিগ বি-র কাছে তোর্সা এরপর প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনার কি আমাকে মনে আছে?’ হাসিমুখে সঞ্চালকের জবাব-'আমি সুন্দর মুখেদের কখনও ভুলি না'।
২০২২ সালের অগস্ট মাসে সেই চিঠি তোর্সার বাড়ির ঠিকানায় পাঠিয়েছিলেন অমিতাভ। প্রায় এক বছরের ব্যবধানে স্বপ্ন সত্যি করে অমিতাভের মুখোমুখি হলেন তোর্সা চট্টোপাধ্য়ায়।
ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তোর্সা। গান তাঁর ভীষণ প্রিয়। এই মুহূর্তে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেবিসি-র এই প্রতিযোগী। হটসিটে বসে একের পর এক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জিতে নেন তোর্সা। সুপার সিন্দুক রাউন্ডেও ৭০,০০০ টাকা জেতেন তিনি। তবে ২৫ লক্ষের প্রশ্নে আটকে যান তিনি।
ভারতের কোন প্রতিবেশি রাষ্ট্র, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ২০০২ সালে পাতলা প্লাস্টিক ব্যাগের উপর নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করেছিল? প্রশ্নের সঠিক জবাব বাংলাদেশ। তবে সেটি জানা না থাকায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েই শো থেকে বিদায় নেন তোর্সা। কোনওরকম রিস্ক নেননি তোর্সা।