নতুন বছরের ছবিপ্রেমীদের হতাশার দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। দেশজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্ক, এর জেরেই একের পর এক রাজ্যে তালাবন্ধ হচ্ছে সিনেমা হল। দিল্লিতে সিনেমা হল আগেই বন্ধ হয়েছে, মহারাষ্ট্রেও নাইট কার্ফু জারির জেরে শো সংখ্যা কমেছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য শাহিদ কাপুর অভিনীত 'জার্সি'র পর ‘আরআরআর’-এর মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্মাতারা। গত ৭ই জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বাহুবালী পরিচালক এসএস রাজামৌলির এই ফিল্ম। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বলি-পরিচালক আনিস বাজমি।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আনিস বাজমি খোলাখুলি জানালেন ইতিমধ্যেই যেসব ছবির প্রচার জোরকদমে শুরু করে দেওয়া হয়েছিল বড়সড় লোকসান হয়েছে সেইসব ছবি নির্মাতাদের। তাঁর ভাষায়, 'স্রেফ টাকাগুলো নষ্ট হলো।' 'ওয়েলকাম' ছবির পরিচালক আরও জানান এই করোনা আবহে ছবির শ্যুটিংয়ের খরচও বেড়েছে চোখ কপালে তোলার মতো। উল্লেখ্য, আগামী মার্চে বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা তাঁর নতুন ছবি 'ভুলভুলাইয়া ২'। সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য, 'নির্ধারিত সময়ে বড়পর্দায় যাতে মুক্তি পায় এই ছবি তার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আশা রাখি, ততদিনে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।'
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফসোসের স্বরেই তিনি বলেই ফেলেছেন যে করোনা এবং ওমিক্রন আতঙ্ক এর সুবাদে 'জার্সি', 'আরআরআর' পিছিয়ে গেল, তাতে আখেরে বিরাট ক্ষতি হল সেই দুই ছবির নির্মাতাদের। কারণ, পরে আবার তাদের নতুন করে ছবির প্রচার করতে হবে। তার ফলে কী দাঁড়াল? গত এক মাস ধরে যে এই দুই ছবির নির্মাতারা তাঁদের ছবির প্রচার চালালেন, সেই সমস্ত টাকা পুরো জলে গেল!'
সামান্য থেমে তিনি আরও বলেন, 'এর ফলে বাকি প্রযোজকের দল তাঁদের নতুন ছবির প্রচার করার আগে এখন দু'বার ভাববে। তাঁদেরও কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট হলো।' আনিস বাজমির ধারণা পরিষ্কার, 'কে সাধ করে নিজের পকেটের টাকা এমনি এমনি খসাতে চায় বলুন? প্রযোজকেরাও এখন হয়ত ভাবছেন সব ঠিকঠাক করে প্রচার সারলাম তারপর হয়ত ফের পিছিয়ে দিতে হল মুক্তির তারিখ। অন্যদিকে, একই ছবির প্রচার বারেবারে দেখতে ও শুনতে শুনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে দর্শককুলও। সোজা কথায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।'