হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। ‘পবিত্র রিসতা’র অর্চনা দেশমুখ হিসাবে থেকে প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর শিকার হতে হয়েছে অঙ্কিতাকেও। কেরিয়ার দুবার এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন নায়িকা। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন প্রয়াত অভিনেতা, সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন প্রেমিকা।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, টেলি ধারাবাহিকে সফল অভিনেত্রী হওয়ার আগে তিনি ছবিতে কাজের সুযোগের চেষ্টা করেন। একটি দক্ষিণী ছবিতে কাজের জন্য তিনি অডিশনও দিয়েছিলেন। তবে সেখানে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ‘আপোস’ করতে বলা হয়েছিল। এরপরই সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন,কারণ অভিনয় প্রতিভার জেরেই কাজ পেতে ইচ্ছুক ছিলেন স্ট্রাগলার অঙ্কিতা।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা বলেন, ‘আমি সেই সময় পরিণত ব্যবহার করি। আমার তখন ১৯ থেকে ২০ বছর বয়স ছিল। আমি ঘরে একা ছিলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, কী ধরণের আপোস তোমার প্রোডিউসার করতে চায়? আমাকে কি পার্টিতে অথবা ডিনারে যেতে হবে?’
এরপর সরাসরি কুপ্রস্তাব পাওয়ার পর, পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘সেই সময় আমি তাঁর ব্যান্ড বাজিয়ে ছেড়েছিলাম। আমার মনে হয় তোমার প্রোডিউসার শোবার জন্য মেয়ে খুঁজছে। কাজ করার জন্য প্রতিভাবান মেয়ে নয়। এরপরই সেখান থেকে বেরিয়ে যাই, এরপর তিনি ক্ষমা চান এবং আমাকে তাঁর ছবিত কাজ দেওয়ার কথা বলেন। যদিও তখন আমি তাঁর স্পষ্ট জানাই, তুমি আমাকে ছবিতে কাজ দিলেও, আমি তোমার ছবিতে কাজ করতে চাই না’।
টেলিভিশনে সফলতা পাওয়ার পরেও একবার একই ঘটনা ঘটে অভিনেত্রীর সঙ্গে। অঙ্কিতার কথায়, ‘যখন আমি ফের ছবিতে সুযোগের চেষ্টা করি, আমি নাম বলতে চাই না, সেই সময় নামী এক অভিনেতার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলে সেই একই জিনিস অনুভব করতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পিছিয়ে আসি। তখনই মনে মনে ভেবে নিই, আমি বুঝতে পারি এখানে আমার দ্বারা হবে না। কারণ এটা দেওয়া-নেওয়া সম্পর্ক। এসব আমার দ্বারা হবে না, তাই আমি পিছিয়ে আসি’।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ‘মনিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবিতে বলিউড ডেবিউ হয় অঙ্কিতার। ঝলকারি বাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। ‘বাগি ৩’ ছবিতে টাইগার শ্রফ, শ্রদ্ধা কাপুর এবং রিতেশ দেশমুখের পাশাপাশি সাপোর্টিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।