সোমবার, ১১ জানুয়ারি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা। ওই দিন দুপুরে মুম্বইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে ফুটফুটে মেয়ের জন্ম দেন বিরাট ঘরনি। বিকালবেলা পাপা কোহলি সোশ্যাল মিডিয়ায় সুখবর ভাগ করে নেন। এবার এই ‘পাওয়ার কপল’ মুম্বইয়ের পাপারাতজিদের কাছে আবেদন জানালেন নবজাতকের ছবি না তুলতে। মেয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরুষ্কা।
মুম্বইয়ের পাপারাতজিদের কাছে বিরাট-অনুষ্কার তরফে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘নমস্কার, এত বছর ধরে আপনারা আমাদের যে ভালোবাসা দিয়েছেন তাঁর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা খুশি হয়ে আপনাদের সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। বাবা-মা হিসাবে আমাদের একটা অতি সাধারণ অনুরোধ রয়েছে আপনাদের কাছে। আমরা নিজেদের সন্তানের গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই, এই কাজে আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন প্রয়োজন’। বিরুষ্কার তরফে যোগ করা হয়েছে- ‘আমরা আগামিতেও নিশ্চিত করব আমাদের সবরকমের কনটেন্ট আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে যা কিছু সহযোগিতা করা সম্ভব সেগুলো মেনে চলা। আমরা আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমাদের সন্তানের কোনওরকম ছবি আপনারা তুলবেন না বা কোথাউ ছড়িয়ে দেবেন না। আশা করছি আপনারা বুঝবেন আমারা কোন পরিস্থিতি থেকে এই কথাগুলো বলছি, এবং এর জন্য আগাম ধন্যবাদ’।
শুধু হাতে এই বার্তাই নয়, এর পাশাপাশি বাবা-মা বিরাট, অনুষ্কার তরফে মুম্বইয়ের পাপারাতজিদের জন্য রিটার্ন গিফটও পাঠানো হয়েছে। বিরাট-অনুষ্কার যতদিন পর্যন্ত অনুমতি না দিচ্ছেন ততদিন তাঁদের মেয়ের ছবি তোলা হবে না, জানিয়েছেন মুম্বইয়েরে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাপারাতজি ভাইরাল ভায়ানি। আগেও ভাইরাল জানিয়েছেন যে সকল বলিউড তারকারা নিজেদের সন্তানদের ছবি তুলতে ফটোগ্রাফারদের নিষেধ করে সেই অনুরোধ রাখা হয়। বিরাট-অনুষ্কা তেমনটা জানালে সানন্দে সেই অনুরোধ মেনে নেবে মুম্বইয়ের পাপারাতজিরা। এর আগে রানি মুখোপাধ্যায় ও আদিত্য চোপড়ার তরফেও তাঁদের মেয়ের ছবি তুলতে বারণ করা হয়েছিল। শিল্পা শেট্টিও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেয়ের ছবি পাপারাতজিদের তুলতে নিষেধ করেছিলেন। এখন অবশ্য খোশমেজাজে ছবির জন্য মেয়েকে নিয়ে পোজ দেন শিল্পা।
সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া আগোচরেই বড় করতে চান, তেমনটা আগেই জানিয়েছেন অনুষ্কা। ‘আমরা অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি। জনগণের চোখের সামনে অবশ্যই আমরা আমাদের সন্তানকে বড় করতে চাই না। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনওভাবেই সন্তানকে যুক্ত করতে চাই না। এই সিদ্ধান্তটা সন্তানের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। অন্যদের চেয়ে তোমার সন্তানকে বেশি স্পেশ্যাল হিসাবে গড়ে তোলাটা অনুচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া সঙ্গে মানিয়ে উঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে খুদেদের জন্য সেটা কতখানি শক্ত হতে পারে? এটা শক্ত হবে (সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে রাখা), কিন্তু আমরা সেটা মেনে চলতে চাই’, ভোগ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে গতমাসেই এ কথা জানিয়েছেন অনুষ্কা।