র্যাপার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এখন বাদশা গোটা দেশের দর্শক মনেই। তবে কেরিয়ারের শুরুটা একেবারেই সহজ ছিল না। বিশেষ করে হানি সিং-এর সঙ্গে সমস্যার কারণে। সেই সময় একসঙ্গে ‘মাফিয়া মন্দির’ নামে একটি ব্যান্ড খুলেছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাদশা জানান, প্রথমদিকে সব ঠিকঠাকই চলছিল তাঁদের মধ্যে। তবে সমস্যা বাধে যখন হানি সোলো কেরিয়ার গড়ার দিকেই বেশি উৎসাহী হয়ে পড়েন।
বাদশার মতে, ‘মাফিয়া মন্দির’ ভেঙে যাওয়ার বড় কারণ হল হানি সিং-এর আত্মকেন্দ্রিকতা। ব্যান্ডের অন্যান্য সদস্যের অবহেলা করাও ছিল অন্যতম বড় কারণ। বাদশা ছাড়াও এই ব্যান্ডে ছিলেন রফতার, ইক্কা, লিটল গুরু।
রাজ শামানির পডকাস্টেে বাদশাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রথম দিকে মাফিয়া মন্দিরের সদস্য ছিলাম আমি আর হানি। ২০০৯ সালে হঠাৎ সংঘর্ষ শুরু হয় আমাদের মধ্যে। আমি অনেকবার হানির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু ও আমার কল বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হানি সিং এতটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠেন যে নিজের সোলো কেরিয়ার ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছিলেন না।’
‘আমরা অনেক গান বানিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো কখনো সামনেই এল না। কারণ হানির মন তখন শুধুই নিজের কেরিয়ারে। ২০০৬ সাল থেকে মাফিয়া মন্দিরে ছিলাম। ২০০৯ সাল নাগাদ আমার মা-বাবা আমার কেরিয়ার নিয়ে বেশ চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিল। ২০১১-তে আমার আর হানির প্রথম গান মুক্তি পায় ‘গেট আপ জওয়ানি’।’’, বলতে শোনা যায় বাদশাকে।
র্যাপার-গায়ক হানিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমার এতটাও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়া ঠিক হয়নি। মুখে আমাদের ভাই বলছ, এদিকে আমাদের কাজকে মান্যতা দিতে চাইছ না। আমরাও তো সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে এখানে এসেছি।’ বাদশা আরও জানান, সেই সময় তাঁকে দিয়ে খালি চুক্তিপত্রেও সই করিয়ে নিয়েছিলেন হানি সিং। শেষমেশ ২০১২ সালে ‘মাফিয়া মন্দির’ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাদশা।
একসময় খুব ভালো বন্ধু ছিলেন বাদশা আর হানি সিং! তবে তা টেকেনি বেশিদিন। এরপর থেকেই একে-অপরকে এরিয়ে চলেন। যদিও মাঝে কিছু বছর মাদক, রহ্যাবের কারণে কেরিয়ার থমকে যায় হানির। এদিকে পানি পানি, আভি তো পার্টি শুরু হুয়ি হ্যায়, জুগনু, ব্যাড বয়, ব্রেকআপ সং-এর মতো গান দিয়ে নিজের কেরিয়ারের ভিত শক্ত করে ফেলেছেন বাদশা।