কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘বুড়ো বয়সের’ প্রেম থুড়ি পরকীয়া নিয়ে সোশ্যালে কাটাছেঁড়ার শেষ নেই। খাতায়-কলমে আজও রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্ত্রী। অথচ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সহবাস করছেন তিনি। ভালোবেসে সংসার পেতেছেন তাঁরা। এই সম্পর্কের আইনি স্বীকৃতি না থাকলেও তাঁদের সুখী গৃহকোণ। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোভনের সঙ্গে সহবাস নিয়ে খুল্লমুখুল্লা বৈশাখী।
শোভন-বান্ধবীর স্পষ্ট কথা, ‘সহবাসের গ্লানি আর সহবাসের সৌন্দর্য দু-টোই গ্রহণ করতে হয়’। বৈশাখী যোগ করেন, ‘আমার মতো স্বাধীন মানুষ, যে লোকের কথা খুব কম চিন্তা করি, তাকেও ভাবতে হয় হোয়াট নেক্সট।’ এরপর নীনা গুপ্তার এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের কথা টেনে আনেন। 'সাহসী' নীনা গুপ্তা আশির দশকে সহবাস সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন অথচ নিজের মেয়ে মাসাবাকে সেই পথে হাঁটতে দেননি। বিয়ে করতে জোর করেছিলেন, অথচ মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভেঙে যায় মাসাবার বিয়ে। এর জন্য আত্নগ্লানিতে ভুগেছিলেন নীনা।
এই ব্যাপারে শোভনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান বৈশাখী। তিনি বলেন, ‘মহুল (আসল নাম রিলিনা) এখন অনেক ছোট। আমি শোভনকে এখন বলি, ও আমায় (পালটা) বলে- ‘পুরো পাগলি একটা’। আমি মাঝে মাঝেই বলি, আমার জীবনে যেমন তুমি আছো, ওর জীবনে যেন একটা শোভন থাকে। আমি সত্যি জানি না আমার মেয়ে আদেও একটা ছেলেকে বিয়ে করবে কিনা। হতেই পারে ওর কোনও মেয়েকে ভালো লেগে গেল। এটা ওর জীবন। আমি মুক্তমনা। আমি কোনওদিন ওর উপর কিছু চাপিয়ে দিইনি। চাই না আমি যেমন স্বামী পেয়েছিলাম তেমন স্বামী ও পাক, তার চেয়ে শোভনের মতো কোনও পার্টনার ওর জীবনে আসুক। যে সম্পর্কে ওর গ্রোথ থাকবে, যে সম্পর্কে ওর সম্মান থাকবে। সে সম্পর্কটা নিয়ে প্রতিদিন ও আনন্দে মেতে থাকবে’।
খারাপ স্বামী কখনও ভালো বাবা হয় না বিশ্বাস বৈশাখীর, তেমনই ভালোবাসার মানুষ কোনওদিন খারাপ বাবা হয় না। মহুলকে দত্তক নেওয়ার জন্য নিজেই সবরকম রিসার্চ করেছেন শোভন। প্রকাশ্যে মহুলকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি শোভন, বাবার যাবতীয় দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছেন। মহুলের স্কুলের পেরেন্টস টিচার মিটিং-এ যেতে আজ পর্যন্ত ভোলেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে বৈশাখী প্রশ্ন করায় জবাব দিয়েছেন, ‘যেদিন তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়ে যাবে, সেদিন একটু রেস্ট নেব। এখন আমি ভাবতেও পারি না এগুলো তুমি একা করবে’।
মেয়ে মহুল আদর করে শোভনকে দুষ্টু বলে ডাকে। আবার সম্মান দিয়ে বাবাও বলে। তবে মহুল যে নামেই ডাকুক না কেন, শোভন তাঁর বাবার চেয়ে কম নয়। জানান বৈশাখী।