বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাম্পত্য় নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ যেমন, বিয়ে না করে দুজনের সহবাস নিয়ে কটাক্ষ তো করেন, তো কেউ আবার ‘আদর্শ সম্পর্ক’-এর ট্যাগ দেন। সামাজিক মাধ্যমে বৈশাখী মাঝেমধ্যেই তাঁদের দাম্পত্যের খুঁটিনাটি ভাগ করে নেন। যাতে যেমন তাঁর আর শোভনের রসায়ন ফুটে ওঠে, তেমনই থাকে বৈশাখী কন্যা মহুলের সঙ্গে শোভনের সু-সম্পর্ক। খুব সহজেই এই ছোট্ট মেয়েটির বাবার জায়গা নিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র।
অনেকে আবার প্রশ্ন করেন, এই বয়সে এসে কীভাবে প্রেম হল দুজনের! কী পান তাঁরা একে-অপরের থেকে! কেনই বা আছেন একসঙ্গে। এসম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আনন্দবাজারকে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘আমি আর শোভনের কেউই নিজেদের যৌবনে নেই। এই বয়সে এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার পিছনে প্রগাঢ় ভালোবাসা থাকতে হবে। ভালোবাসাটাই থাকতে হবে, কারণ শারীরক সম্পর্কের সুখ তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি।’
এখানেই না থেমে মনোজিতের সঙ্গে বিয়ের সময় হওয়া একটি খারাপ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন বৈশাখী। জানান, প্রাক্তন স্বামী একদিন তাঁকে বলেছিলেন, ‘বউ মানে আনপেইড প্রস্টিটিউট’। সঙ্গে জানান, বহু পুরুষের থেকে প্রেম প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি বুঝেছিলেন, কেউ বৈশাখীকে ভালোবাসে না। ভালোবাসে বৈশাখী নামের অবয়বটিকে। একটা শরীর, সঙ্গে প্রেজেন্টেবল। ফলে আলাদাই ছিল আকর্ষণ। কিন্তু বরাবরই ভালোবাসার মানুষের খোঁজে ছিলেন তিনি। এমন একটা মানুষের অপেক্ষায় ছিলেন, যে তাঁকে আগলে রাখবে। আর তাই পেয়েছেন শোভনের থেকে।
ইতিমধ্যেই ডিভোর্স পেয়ে গিয়েছেন বৈশাখী মনোজিতের থেকে। যদিও আদালতে এখনও চলছে শোভন ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের মামলা। আর সেই মামলার নিষ্পত্তি হলেই দুজনের স্বপ্ন আছে বিয়ে করার। এরকমই এক পুজোর সময়, দশমীর দিনে দুর্গা মায়ের সামনে বৈশাখীর সিঁথি ভরে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। তাঁর আগেই অবশ্য দিয়েছিলেন স্ত্রী-র মর্যাদা। এবার সমাজের সামনে স্বীকৃতি দিতে চান দুজনেই এই সম্পর্ককে। বৈশাখী দিনকয়েক আগে জানিয়েছিলেন, ‘ঘটা করে আমি আর শোভন বিয়েটা করবই। আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। যদি কেউ ২২ বছর ঘুরিয়ে যায়, ওর তখন ৮০ হয়, আর আমার ৬৫, তাহলেও বিয়েটা হবে।’
কম ট্রোল হয় না তাঁদের নিয়ে। তবে সব নেগেটিভিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে প্রাণ খুলে বাঁচতে পছন্দ করেন দুজনেই।