তাঁর নাম নোবেল, পুরো নাম মইনুল আহসান নোবেল। বাংলাদেশের এই নোবেল বিতর্কে থাকতেই যেন ভালোবাসেন। মাঝে মধ্যেই তাই এমন কাণ্ডকারখানা করেন, যাতে লোকজন ছিঃ ছিঃ করতে শুরু করেন। বহুবার প্রকাশ্যে মাতলামি করার জন্য সমালোচিত হয়েছেন নোবেল। আর এবার মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন নোবেল।
কীভাবে কোথায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা?
জানা যাচ্ছে, ১৭ অগস্ট, বৃহস্পতিবা সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ বাংলাদেশের কালিয়া উপজেলা, বড়দিয়া বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, মদ খেয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন নোবেল। অসংলগ্ন কথাও বলছিলেন, স্থানীয় যাঁরা তাঁক বাঁচাতে এসেছিলেন, তাঁদেরকেও অপমান করেন নোবেল। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা নোবেলের প্রাথমকি চিকিৎসা করে তাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন। নোবেলের মাতলামির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নেটপাড়ার তীব্র নিন্দার মুখে পড়েন নোবেল। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাতেও নোবেলের কাণ্ডকারখানার ভিডিয়ো উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-Gadar 2-Ameesha: 'আমি যদি ছবির এডিটর হতাম, তাহলে…', Gadar 2র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আমিশা
এদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশের সাংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধের পর বাড়ির সামনের রাস্তায় মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়ে ভিতরে ঢুকছি, তখন আওয়াজ শুনে ফের বের হয়ে আসি। মুখ দেখেই চিনে ফেলি, দেখি নোবেল। উনি অসংলগ্নভাবে বলেন, আমি গোপালগঞ্জের গায়ক নোবেল। বোঝাই যাচ্ছিল যে উনি মদে ডুবে রয়েছেন।' আরও একজনের বলেন, ‘আমি ভারতের সারেগামাপা অনুষ্ঠানে নোবেলের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম, আর এখন দেখি একজন প্রতিভাবান শিল্পী কীভাবে নিজেকে নষ্ট করছেন। রোজই তো দেখি ওঁকে নিয়ে বিতর্ক হয়।’
নোবেলের আত্মীয় ও স্থানীয় সাংবাদিক বাবলু মল্লিক বলেন, ‘নোবেল কালিয়া উপজেলার বাগুডাঙ্গায় ফুফু বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। বাগুডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বিকেলে খালি গলায় একটি গান গেয়েছিলেন। ছোটো ছেলে-মেয়েদের আবদারে সেলফিও তোলেন। সাড়ে ৩টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি পরে কোথায় যান তা আমার জানা নেই।’
প্রসঙ্গত, এর আগে আগাম টা বাংলাদেশের শরিয়তপুর ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মহম্মদ সাফায়েত ইসলাম।সেই প্রতারণার মামলায় জামিনে মুক্ত হন নোবেল।